jalpaiguri

স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী স্বামী, জলপাইগুড়িতে চাঞ্চল্য

জেলা

শুধুমাত্র সন্দেহের বশেই স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী হলেন স্বামী। শনিবার সকালে এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে জলপাইগুড়ি শহরে। পুলিশ জানা গেছে, মৃতের নাম সানি রাউত(৩৫)। নন্দিনী রাউত(৩০)। জলপাইগুড়ি শহরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছিলেন। রেল দপ্তরে কর্মরত ছিলেন সানি রাউত। এদিন সকালে মেঝেতে পড়ে ছিল নন্দিনীর দেহ। সিলিং পাখায় ঝুলছিল সানি। অভিযোগ, স্ত্রীকে খুন‌ করে আত্মঘাতী হয়েছেন স্বামী। 
স্থানীয় সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গেছে, স্ত্রীকে সন্দেহ করতেন সানি। প্রায় প্রতিদিনই তাদের মধ্যে অশান্তি হতো। শুক্রবার রাতেও দুজনের মধ্য চরম অশান্তি হয়। অশান্তি হচ্ছে বুঝতে পারেন প্রতিবেশিরাও। দীর্ঘক্ষণ চলে দুজনের মধ্য কথা কাটাকাটি। শনিবার সকালে দুজনকে দেখতে না পেয়ে সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। তাঁরা জানিয়েছেন, সানির শ্বশুরবাড়িতে ঘটনাটি ঘটেছে। মাঝেমধ্যে সে শ্বশুরবাড়িতে এসে থাকত। শনিবার সকালে স্বামী স্ত্রী দুজনেই বাড়িতে ছিল। কিছুক্ষণ পর সানির শাশুড়ি বাড়িতে আসেন। ঘরে ঢুকতেই তিনি চিৎকার করে ওঠেন। ওই চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন চলে আসেন। ঘরে ঢুকে দেখা যায়, নন্দিনীর দেহ বিছানায় পড়ে রয়েছে। সানি গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে দুজনকে উদ্ধার করে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই দুজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। নন্দিনীর আত্মীয় সুনীতা রাউত বলেন, ‘‘সানি রাউত রেল দপ্তরে কর্মরত ছিলেন। সন্দেহের বশে স্ত্রীকে সবসময় মারধর করতো। দুজনের মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকতো। মাঝে মধ্যেই নন্দিনীকে মেরে‌ ফেলার হুমকিও দিত‌। তাদের দুটো কন্যা সন্তান রয়েছে তারা ওইদিন দিদার কাছে ছিল।’’ দম্পতি মৃত্যুর ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Comments :0

Login to leave a comment