Vaidyabati Talchakra

অনবদ্য অনুষ্ঠান বৈদ্যবাটি তালচক্রের

জেলা

Vaidyabati Talchakra খান গাইছেন আরশাদ আলি

সম্প্রতি এক বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণাপত্রে প্রকাশ পেয়েছে ধ্বনী বা সংগীত মানবমনের গহীন কোণকেও আন্দোলিত করে। আবেগ ও অনুভূতি প্রভাবিত হতে পারে সংগীতের মধ্য দিয়েই। সেই সিদ্ধান্তকেই প্রমাণ করে দেখালো বৈদ্যবাটি তালচক্র।
১৯৮৪ থেকে পথচলা শুরু বৈদ্যবাটি তালচক্রের। আচার্য শ্রী সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্যের সম্পাদনা ও তত্বাবধানে। আচার্য শ্রী সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্য যিনি তালকেন্দ্র সংগীত শিক্ষাকেন্দ্রের কর্ণধার তিনি বিশিষ্ট তালবাদ্য বিশারদ পন্ডিত শ্যামল বসুর সিনিয়র ছাত্র। মূলত প্রতিষ্ঠানে তিনি তালবাদ্য শেখান তবে তার পাশাপাশি সংগীত শেখানো হয়। তিনি ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের অনুরাগী। প্রতিবছর এভাবেই তিনি সংগীত সম্মেলন করেন।

লকডাউনের সময় কয়েকবছর বন্ধ থাকলেও সেই ১৯৮৪ থেকেই ধারাবাহিক ভাবে সাংগীতিক অনুষ্ঠান হয়ে এসেছে। এবারেও সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে কালিকৃষ্ণ অ্যাপার্টমেন্ট শেওড়াফুলির হলে এই অনুষ্ঠান হয়। প্রখ্যাত পন্ডিত কমল মল্লিক, পন্ডিত সঞ্জয় গুহ, পন্ডিত অরূপ চট্টোপাধ্যায়, পন্ডিত সঞ্জয় ব্যানার্জি, পন্ডিত কুমার রায়, তবলিয়া পন্ডিত অরূপ চট্টোপাধ্যায়, সরোদীয়া পন্ডিত অনিন্দ্য বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। বহু খ্যাতনামা শিল্পী বাজিয়ে গেছেন সবাইকার নাম হয়ত বলা গেলোনা কিন্তু বহু বিশিষ্ট্য শিল্পীরা এই অনুষ্ঠানে গান গেয়ে গেছেন।

ঐতিহ্য ও সাবলীল কন্ঠ ও বাদ্যযন্ত্রের মূর্ছনায় এতদিন পরিচালিত হয়ে চলেছে। শুরুতে শিল্পী দেবপর্ণা সরকার বেহাগ রাগে বিলম্বিত ও দ্রুত পরিবেশন করেন। কন্ঠমাধুরির জাদুতে হলে সূরমূর্ছনা আন্দোলিত হয়। বয়ঃকনিষ্ঠ হলেও তান ও বিস্তার শিল্পী দেবপর্ণা যথেষ্ট সাবলীল ভাবেই পরিবেশন করেন। সংগদে তবলিয়া সমীত বণিক ও ছিলেন অনবদ্য। পরে তবলিয়া পন্ডিত বিপ্লব ভট্টাচার্য তালবাদ্য পরিবেশন করেন। শাহী মুদ্রা, অস্তুর পরিবেশন করেন। পরে ৭ এর ছন্দে রেলা বাজান। বিজলি পড়ন দিয়ে শেষ হয়। মুখে আবৃত্তি করে  তবলায় বোল বাজান। তবলাও বলে ওঠে গগনে অবঘন মেঘ দারুন। ধামার বাজান শিব তান্ডব দিয়ে তবলা লহরা শেষ করেন। এর পর রাগ শুদ্ধকল্যাণ পরিবেশন করেন উস্তাদ আরশাদ আলি খান। সুরমূর্ছনায় ফের গমগম করে ওঠে হলঘর। তার সাথে বাদ্যযন্ত্রে সাহায্য করেন বিশিষ্ট তবলিয়া জয়ন্ত সরকার ও প্রখ্যাত হারমোনিয়াম বাদক প্রদীপ পালিত। বিস্তার পরে তানের কাজ প্রত্যেকটি হরকত শুনে হাততালিতে ভরিয়ে দেন দর্শকেরা। পরে তিনি ভজন পরিবেশন করেন। বহু শিল্পীর গীত ও বাদ্যে এদিনের সন্ধ্যা সুরমুর্ছনার মাধুরিতে ঝঙ্কৃত ছিলো।  পরিচালনা করেন লাইলি মুখার্জি।

Comments :0

Login to leave a comment