general strike

ধর্মঘটের সমর্থনে পূর্ব মেদিনীপুরে মিছিল

রাজ্য জেলা

শ্রমুকোড বাতিল করা, অস্বাভাবিক দ্রব্যমূল্যে রোধ করা, রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প গুলির বিলগ্নীকরণ বন্ধ করা, প্রকল্প ও ঠিকা কর্মীদের স্থায়ীকরণ করার দাবি সহ ১৭ দফা দাবিতে আগামী ৯ জুলাই সারা দেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। সেই ধর্মঘটের সমর্থনে রবিবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সিআইটিইউ’র ডাকে কুলবেড়িয়া সুকুমার সেনগুপ্ত ভবন থেকে নিমতৌড়ি চৌরাস্তা, শ্রীরামপুর রাস্তা, নিমতৌড়ি বাজার এলাকায় বন্ধের সমর্থনে একটি বিশাল মিছিল পরিক্রমা করে। বন্ধের সমর্থনে মিছিলে নেতৃত্ব দেন সুজন চক্রবর্তী, নিরঞ্জন সিহি, হিমাংশু দাস , সিআইটিইউ পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পন্ডা,ভরত মাইতি মহাদেব মাইতি অমল কইলা প্রমুখ।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘তৃণমূল ও বিজেপি একই খেলাতে মেতে আছে। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে মানুষ জখন ভাতের লড়াইতে শিক্ষা ও কাজের দাবিতে লড়াই করছেন তখন সমস্ত দিক ভুলিয়ে দিয়ে মানুষে মানুষে ভাগ করার লাড়াইতে নেমে পড়েছে বিজেপি। সেই একই লড়াইতে শামিল তৃণমূলও। সরকারি বাবস্থাকে ব্যবহার করে মন্দির করায় মেতেছে দুই দল। অন্যদিকে ঘাটাল মাস্টার প্লান বিশবাও জলে। বাজার করেছেন ছবি তুলেছেন প্রচারও করেছেন কিন্তু কাজের কাজ কিছুই করেননি। ওদিকে মানুষ ডুবছে। মমতা ব্যানার্জির সরকার নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কিন্তু বাস্তবে কিছুই হয়নি। তিনি বলেন সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ভোট আদায়ের জন্য।’’   
ধর্মঘট প্রসঙ্গে চক্রবর্তী  বলেন, ‘‘কেন্দ্রের মোদী সরকার দেশের সম্পদ বিক্রি করে বাইরের কোম্পানিগুলোর হাতে তুলে দিতে চাইছে। বর্তমান সরকার একটাও বড় রাষ্ট্রায়ত্ব ক্ষেত্র তৈরি করতে পারেনি। ধর্মকে ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোয় আঘাত হানতে চাইছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। সব স্তরের শ্রমজীবীরাই আক্রান্ত। সরকারের নীতির ফলে সরকারি এবং বেসরকারি স্তরে কর্ম সংকোচন হচ্ছে। তার প্রভাব আগামীর ওপর পড়ছে। পুঁজি ও শ্রমের দ্বন্দ্ব যবে থেকে সমাজে রয়েছে সেই দিন থেকেই লড়াই সংগ্রাম সংগঠিত হচ্ছে। শ্রম কোডের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে ধর্মঘট করতে না দেওয়া, শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম করতে না দেওয়া। গোটা পৃথিবীর পুঁজিবাদী শ্রেণি চায় শ্রমিকের অধিকার কেড়ে নিতে। তার বিরুদ্ধে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বাঁচানোর লক্ষ্যে ৯ জুলাই ধর্মঘট।’’

Comments :0

Login to leave a comment