আক্রমণ এবং তার পালটা হানা চলছেই। ক্ষতিগ্রস্ত ইরান এবং ইজরায়েল দু’দেশই। ক্ষেপণাস্ত্র পড়ছে বসতি এলাকাতেও। 
বৃহস্পতিবার ইরান বলেছে যে ইজরায়েলের হাসপাতাল লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয়নি। কাছেই একটি প্রযুক্ত পরিকাঠামোকে লক্ষ্য করে ছোঁড়া হয়েছিল ওই ক্ষেপণাস্ত্র।
ইজরায়েল দাবি করেছে যে ইরানের আরাক পরমাণু কেন্দ্র লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত করেছে। তবে পরমাণু কেন্দ্রটিতে বড় কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। 
এদিন ইজরায়েল ফের ইরানের ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লা খামেনেইকে হত্যা করার হুমকি দিয়েছে। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইজরায়েল কাটজ এদিনও বলেছেন খামেনেইকে ‘শাসন চালাতে সুযোগ দেওয়ার কোনও কারণ নেই’। ইরানের বিরুদ্ধে আক্রমণের তীব্রতা বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।  
ইজরায়েল ইরানকে আক্রমণ করেছে পরমাণু অস্ত্র তৈরির দায়ে। অথচ ইজরায়েল নিজে স্বীকার না করলেও তাদের ভাণ্ডারে পরমাণু অস্ত্র রয়েছে বলে স্বীকৃত আন্তর্জাতিক স্তরে।
ইরান ইজরায়েলের নাগরিকদের প্রতি সতর্কবার্তায় বলেছে, ‘সামরিক এবং গোয়েন্দা বিভাগের পরিকাঠামোর ধারেকাছে’ না যেতে। ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আব্বাস আরাগছি জানিয়েছেন সোরোকা হাসপাতালে, যেখানে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র পড়েছে, সেখানে গাজায় আহত ইজরায়েলী সেনাদের চিকিৎসা করা হয়। তিনি বলেছেন, ‘‘ঠাণ্ডা মাথায় বিনা প্ররোচনায় ইজরায়েল হামলা চালিয়েছে। নিহত হয়েছেন ইরানের কয়েকশো মানুষ। সম্পূর্ণ অবৈধ কায়দায় এই যুদ্ধ ডেকে এনেছে ইজরায়েল।’’ 
ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, ‘‘যে অপরাধীরা দেশের নিরস্ত্র নাগরিকদের হত্যা করেছে তাদের জবাব দিয়ে চলেছে সামরিক বাহিনী। যতক্ষণ না হিসাব মেটানো হচ্ছে ততক্ষণ চলবে আক্রমণ।’’
ইরানের বিদেশ মন্ত্রী শুক্রবার যাচ্ছেন ইউরোপে। ইরানের অবস্থান বিশদে ব্যাখ্যার জন্য সুইৎজারল্যান্ডের জেনেভায় তাঁর বৈঠক হওয়ার কথা ইউরোপের বিভিন্ন দেশের বিদেশমন্ত্রীদের সঙ্গে।
এদিকে আমেরিকায় সফরে গিয়েছেন ব্রিটেনের বিদেশ সচিব ডেভিড ল্যামি। তাঁর সঙ্গে বৈঠক করছেন আমেরিকার বিদেশ সচিব মার্কো রুবিও এবং বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ। 
ইজরায়েল জানিয়েছে দেশের উত্তর অংশের হাফিয়া শহরে বাসিন্দাদের সুরক্ষিত এলাকা ছেড়ে বেরনোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ইরানের আক্রমণের জেরে এই শহরের নাগরিকদের নির্দিষ্ট সুরক্ষিত এলাকায় আশ্রয় নিতে বলেছিল ইজরায়েল।