গুলিবিদ্ধ ১৩ জনের দেহ মিলেছে মণিপুরের টেঙ্গনৌপল জেলায়। দেহের পাশে কোনও অস্ত্র ছিল না। দেহে একাধিক গুলির আঘাত ছিল বলে জানা গিয়েছে।
মণিপুরের পরিস্থিতি কতটা বিপজ্জনক ফের বুঝিয়েছে সোমবারের এই ভয়াবহ ঘটনা। আধিকারিক স্তরের এক সূত্রের উল্লেখ করে কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে যে এদিন দুপুরে ঘটনার খবর পায় প্রশাসন।
টেঙ্গনৌপলের লেইথু গ্রামে পরপর ১৩ জনের দেহ পড়ে ছিল। সুরক্ষা বাহিনীর জওয়ানরা গিয়ে উদ্ধার করেন তাঁদের। একাংশের বক্তব্য, দুই সশস্ত্র গোষ্ঠীর সংঘাতের পরিণামে ১৩ জন নিহত হয়েছেন। তবে নিহতেরা কোনও গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত কিনা স্পষ্ট নয়।
মেইতেই এবং কুকি সংঘর্ষে মণিপুরে ঘরছাড়া মানুষের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে। ১৮০ জনের বেশি নিহত। রাজ্যে এবং কেন্দ্রে আসীন বিজেপি’র দুই সরকারই যদিও দাবি করেছে যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক।
এক দিন আগে মণিপুরে ফিরেছে ইন্টারনেট পরিষেবা। এর মধ্যে রাজ্যের অন্যতম উগ্রপন্থী সংগঠন ইউএনএলএফ’র সঙ্গে সমঝোতা হয়েছে রাজ্য ও কেন্দ্রের। দুই জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের জন্য রাজ্যের বিজেপি সরকারকেই দায়ী করেছে বিভিন্ন অংশ। ভোটের জন্য দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষকে বাড়িয়ে দেওয়া অভিযোগ জোরালো। প্রধানমন্ত্রী যদিও জাতীয় স্তরে জাতভিত্তিক সমীক্ষার দাবি উঠলে তাকে জাতজনিত বিরোধ তৈরি প্রয়াস বলছেন।
MANIPUR FRESH VIOLENCE
গুলিতে ঝাঁঝরা ১৩ দেহ মিলল মণিপুরে
×
Comments :0