আরেক পদযাত্রা ঘিরে ফের অশান্তির আবহ হরিয়ানার নুহতে। শনিবার থেকে ইন্টারনেট পরিষেবা জেলাজুড়ে বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। কিন্তু যে পদযাত্রা ঘিরে শঙ্কা, সেই ‘ব্রিজ মণ্ডল শোভাযাত্রা’-কে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনেনি হরিয়ানার বিজেপি সরকার।
জুলাইয়ের শেষে এমন পদযাত্রা ঘিরেই সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়িয়েছিল নুহ এবং সংলগ্ন জেলা গুরগাঁওয়ে। টানা বন্ধ রাখা হয়েছিল ইন্টারনেট। সেবার পদযাত্রার ডাক দিয়েছিল আরএসএস’র দুই শাখা সংগঠন বজরঙ দল এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। এবার পদযাত্রার ডাক দিয়েছে ‘জাতীয় হিন্দু মহাপঞ্চায়েত’, যার পিছনে রয়েছে উগ্র হিন্দুত্ববাদী শক্তি।
শনিবার হরিয়ানার অতিরিক্ত মুখসচিব টিভিএসএন প্রসাদ ইন্টারনেট পরিষেবায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে জানিয়েছেন, ‘‘সোমবার পর্যন্ত বন্ধ রাখা হবে এই নিষেধাজ্ঞা। পদযাত্রা ঘিরে সমাজবিরোধী বিভিন্ন অংশ গুজব ছড়াতে পারে। তা থেকে সংঘর্ষ হতে পারে।’’
সোমবারই হবে এই পদযাত্রা। শনিবার সংখ্যালঘু মুসলিম প্রধান জেলা নুহের ডেপুটি কমিশনার রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ স্তরে চিঠি পাঠিয়ে গুজব ছড়ানোর আশঙ্কা জানান। গত ৩১ জুলাই যে হিংসা ছড়িয়েছিল তার পিছনে ছিল স্বঘোষিত গোরক্ষক এবং বজরঙ দলের মদতপুষ্ট মনু মানেসরের মতো দুষ্কৃতীরা। গোরক্ষার নামে নুহ সহ রাজস্থান সীমান্ত লাগোয়া মেওয়াত অঞ্চলে একাধিক মুসলিমকে হত্যার জন্য দায়ী এই বাহিনী। মিছিলের আগে তাদের উত্তেজক স্লোগান ছড়িয়ে পড়ে সোশাল মিডিয়ায়।
শনিবার নিষেধাজ্ঞার বিবৃতি জারি করে প্রসাদ বলেছেন, ‘‘গুজব ছড়ানোর কারণে ফের সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। ইন্টারনেটে উস্কানিমূলক বক্তব্যও ছড়াতে পারে।’’
প্রশ্ন উঠছে, যে মিছিল ঘিরে উস্কানি এবং বিদ্বেষ ছড়ানোর আশঙ্কা করা হচ্ছে, সেটিকে বন্ধ করা হচ্ছে না কেন।
Comments :0