দীপশুভ্র সান্যাল
ভয় পাচ্ছেন না। আন্দোলন সঙ্গত, চলবে লড়াই। ডিএ আন্দোলনে শোকজ নোটিশের জবাব দেওয়ার ধরনেই স্পষ্ট এই বার্তা দিলেন জলপাইগুড়ির শিক্ষক-শিক্ষিকারা। জবাব দেওয়ার দিনই মিষ্টি খাওয়ালেন, মাখলেন আবির।
১০ মার্চ রাজ্য জুড়ে ডিএ’র দাবিতে ধর্মঘট করেন কর্মচারীরা। দাবি জানান রাজ্যের সরকারি শূন্য পদে নিয়োগেরও। দাবি করেছেন, নিয়োগ হতে হবে স্বচ্ছতার সঙ্গে। দাবিতে শামিল হয়েছেন শিক্ষকরা, রাজ্যের কোষাগার থেকে বেতনপ্রাপ্ত সব অংশ।
জলপাইগুড়িতে শিক্ষকরা শুক্রবার বলেছেন, লড়াইয়ে নৈতিক জয় হয়েছে। ডিএ গণতান্ত্রিক অধিকার। অধিকার রক্ষায় আন্দোলন জারি থাকবে।
ধর্মঘট হয়েছে নবান্নে, জেলায়। বস্তুত রাজ্যের সর্বত্র প্রতিবাদের তীব্রতায় অচল হয়েছে দপ্তর। ধর্মঘটে শামিল হওয়ায় প্রাথমিক শিক্ষকদের শো কজ নোটিশ দিয়েছিল শিক্ষা সংসদ। শুক্রবার সেই নোটিশের জবাব দিয়েছেন লড়াইয়ে জয়ের মেজাজে।
জলপাইগুড়ির প্রাথমিক শিক্ষক অনুপ ভৌমিক বললেন, ‘‘আমার কর্মজীবনের আর মাত্র ৬ টি দিন বাকি। সেই সময় এই শো কজের নোটিস হাতে পেয়ে আন্দোলনের প্রতি উৎসাহ আরও বেড়ে গেলো।’’
বামপন্থী শিক্ষক সংগঠন এবিপিটিএ’র রাজ্য সহ-সভাপতি তথা জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক বিপ্লব ঝা বলেনন, ‘‘ ১০ মার্চ ডিএ সহ শূন্য পদে স্বচ্ছ নিয়োগের মতো দাবিতে যৌথ মঞ্চের সদস্যরা ধর্মঘটে সামিল হযন। আর এতেই রাজ্য সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়েছে। শো কজ নোটিশ তারই প্রমাণ, তবে আমরা মনে করি সেই দিনের আন্দোলনে আমাদের নৈতিক জয় হয়েছে, তাই আজ আবির মেখে মিষ্টি মুখ করে বিজয় উৎসব পালন করলাম।’’'
জেলার ১৮ সার্কেলে একইভাবে আবির খেলে শিক্ষকদের মিষ্টিমুখ করিয়ে মিছিল পথসভার মধ্য দিয়ে শাসক দল ও সরকারের ভীতি প্রদর্শনের চক্রান্তকে ধিক্কার জানিয়ে শোকজ নোটিশের জবাব রিসিভ করান এবিপিটিএ’র সদস্যরা।
অনেক জায়গায় শাসক দল ও শিক্ষা প্রশাসন শিক্ষকদের ধর্মঘটে বিরত থাকতে ভয় দেখিয়েছিল। সব কিছুকে উপেক্ষা করে শিক্ষকরা ধর্মঘটে সামিল হয়েছেন।
Comments :0