সুভাষ পারিয়াল
যৌবনের তেজ মঙ্গলবার দেখলো পুলিশ। ধুন্ধুমার কান্ড ঘটে গেল বারাসতে।
উত্তর ২৪ পরগনার জেলার ছাত্র- যুব-মহিলারা এদিন লুঠেরা মুক্ত পঞ্চায়েত গড়তে জেলা পরিষদ অভিযানের ডাক দিয়েছিল। সেইভাবে শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল নিয়ে জেলা পরিষদের উদ্দেশ্যে বেলা ২টা নাগাদ বারাসত হেলাবটতলা থেকে মিছিল নিয়ে ৩৪ নং জাতীয় সড়ক হয়ে ব্রীজ অতিক্রম করে ৩৫ নং জাতীয় সড়ক ধরে টেলিফোন এক্সচেঞ্জের পাশ দিয়ে কোর্টের বাজারে ঢোকার মুখে পুলিশ ব্যারিকেড করে। এরপরই ছাত্র, যুব, মহিলাদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। একে রৌদ্রের তাপ এরপর ব্যারিকেডের বাধা দুমড়ে মুচড়ে এগিয়ে গেছে ছাত্র, যুব, মহিলারা। যৌবনের তেজের কাছে কোন বাধাই তখন বাধা নয়। পুলিশ ভিড় কে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠি চালায়। ফলে ধুন্ধুমার কান্ড ঘটে যায়। শুরু হয় দৌড়ঝাপ। ভিড়ের চাপে এদিন ভেঙে পড়ে জেলা পরিষদের গেটের একাংশ।
মঙ্গলবার ছাত্র যুব মহিলাদের জনস্রোত আছড়ে পড়লো জেলা পরিষদের সামনে
এদিন পুলিশের লাঠির ঘায়ে কমপক্ষে ৪ জন আহত হয়েছেন। পুলিশের লাঠির ঘায়ে বারাকপুর থেকে আসা সুবর্ণ ধরের ওপর পুলিশ পর পর লাঠির আঘাত করে। অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তাঁকে শুশ্রুষা করতে গিয়ে দেখা গেছে তার বুকে রাখা ছিল গনশক্তি। এদিন পুলিশ ১০ জন ছাত্র-যুবকে আটক করেছে সভা শেষ হওয়ার পর বারাসত স্টেশনের সামনে থেকে। এই ঘটনার প্রতিবাদে সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ বারাসত থানা ঘেরাও কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এদিন ছাত্র, যুব ,মহিলাদের মিছিল ছিল চোখে পড়ার মতো। এদিনের মিছিলের তেজ ছিল আর সব মিছিল থেকে আলাদা। তাই জেলা পরিষদের সামনে সভা শেষে যখন ছাত্র যব মহিলারা বাড়ি ফেরার পথে কেউ ট্রেন ধরার স্টেশনের সামনে পৌঁছয় তখনই পুলিশের তৎপড়তায় ছাত্র- যুবদের আটক করা হয়। এদিন পুলিশের নিলজ্জ ভূমিকার জন্য নেতৃবৃন্দ জেলা পরিষদে ঢুকেও ডেপুটেশন দেয় নি। ডেপুটেশন কপিটি সভায় পড়া হয়েছে। পরে মেল মারফৎ জেলা পরিষদে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
শান্তিপূর্ণ অভিযানে পুলিশের লাঠিচার্জ
এদিনের মিছিলে স্লোগান ছিল লুঠেরা মুক্ত পঞ্চায়েত চাই, তৃনমূলের লাগামহীন দুর্নীতি, ফসলের নায্য দাম, সারের ওপর ভরতুকি কমানো, নারীদের সুরক্ষা, সব পেটে ভাত সব হাতে কাজ, শিক্ষা শেষে চাকুরী সহ এক গুচ্ছ দাবিতে। এদিনের মিছিল ছিল বেকার যুবকদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। মিছিল শেষে জেলা পরিষদের সামনে বক্তব্য রাখেন ডি ওয়াই এফ আই জেলা সম্পাদক সপ্তর্ষি দেব, এস এফ আই জেলা সম্পাদক আকাশ কর, সভাপতি দ্বীপ্তিজিৎ দাস, গনতান্ত্রিক মহিলা সমিতির জেলা সম্পাদিকা রুনু ব্যানার্জি প্রমুখ। সভাপতি ছিলেন সফিকুল সর্দার। এদিনের সভায় সপ্তর্ষি দেব বলেন, এদিন চার্জসিট দিতে এসেছিলাম। বেকার যুবক, ছাত্র মহিলাদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ প্রশাসন দেখেছে।আগামীদিনে মানুষের ভোটে জিতে জেলা পরিষদে আসব।
ছবি- সৌদীপ দাস।
Comments :0