চন্দননগর গভর্মেন্ট কলেজে গতকাল টিএমসিপির দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গন্ডোগোল বাঁধে। কলেজে সোশাল কারা করবে তা নিয়ে গত কয়েক কয়েকদিন ধরে অশান্তি চলছিল। বুধবার সোমবুদ্ধ গোষ্ঠীর ছাত্র-ছাত্রীরা মিছিল করে চন্দননগর থানায় ডেপুটেশন দেয়। এরপর কলেজের সামনে ফিরতেই দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। পুলিশ গিয়ে বেশ কয়েকজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। বৃহস্পতিবার রাতে ছাত্র নেতা সোমবুদ্ধ দত্ত সহ তিনজনকে গ্রেফতার করে। আজ ধৃতদের চন্দননগর আদালতে পেশ করা হবে।
উল্লেখ্য গত ২০ মার্চ সোমবুদ্ধ দত্তকে সরিয়ে হুগলি-শ্রীরামপুর জেলা তৃনমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি করা হয় উত্তরপাড়ার শুভদীপ মুখোপাধ্যায়কে।
গতকাল কলেজের অবজারভার সুইটি কোলের অভিযোগ বহিরাগত কয়েকজন এসে তাদের উপর আক্রমন করে। যারা গত কয়েকদিন ধরে কলেজের বাইরে তাদের উত্যক্ত করছিল। আজ চন্দননগর থানায় মিছিল করে ডেপুটেশান দিয়ে কলেজে ফেরার সময় তাদের মারধোর করা হয়। দুই ছাত্রী আহত হয়। পুলিশ গিয়ে কলেজের সামনে থেকে দুই পক্ষের বেশ কয়েকজনকে আটক করে। প্রাক্তন সভাপতিকেও আটক করা হয়। খবর পেয়ে তার অনুগামীরা থানার সামনে জরো হয়।
কলেজের এক ছাত্রী সোহিনী সামন্ত বলেন,‘পাপ্পু চৌধুরী নামে এক বহিরাগত বিধায়কের নাম নিয়ে ভয় দেখাচ্ছে। সুইটি কলেজের অবজারভার তাকে মারধোর করা হয়েছে। একই দলের সমর্থক আমরা তাও কেন এসব হচ্ছে।’
তৃনমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি শুভদীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘কলেজের বাইরে বহিরাগতদের সঙ্গে কলেজ ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে একটা গন্ডোগোল হয়েছে। সেখানে সোমবুদ্ধ ছিল। দলের কোন ব্যাপার নয়। পুলিশ আইনত ব্যবস্থা নেবে।’
এসএফআই হুগলি জেলা কমিটির সম্পাদক মন্ডলী সদস্য সায়ন্তন ঘোষ বলেন, ‘কলেজে নির্বাচন হচ্ছে না, তাই তৃণমূল ছাত্র পরিষদ চিন্তায় রয়েছে। আসলে ছাত্র সংসদের নামে নবীন বরণ, স্যোসাল থেকে টাকা তোলাটাই মূল উদ্দেশ্য। এই ধরনের ঘটনা জেলার প্রতিটি কলেজে ঘটতে পারে বলে আমরা মনে করছি। আসলে কলেজ থেকে ছাত্র ভর্তির নামে তোলার টাকা কার দখলে থাকবে তা নিয়ে লড়াই।’
Comments :0