প্রবীর দাস- বসিরহাট
এ এল সি কার্যতঃ অপারগ। তাঁর অনুরোধে দ্বিতীয় দফার ত্রিপাক্ষিক বৈঠকেও সাড়া দিলো না মালিকরা। শুক্রবার এএলসি প্রসাদরঞ্জন সরকার তাঁর অপারগতার কথা জানায় বসিরহাট মহকুমা বিড়ি শ্রমিক যৌথ সংগ্রাম কমিটির প্রতিনিধিদলকে। এরপর এদিন মহকুমা শাসক এস এইচ আশিষ কুমারের দ্বারস্থ হয় যৌথ সংগ্রাম কমিটির ৬ জনের প্রতানিধিদল। দলে ছিলেন বিড়ি শ্রমিক আন্দোলনের প্রবীণ নেতা ও যৌথ সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক নূর ইসলাম মোল্লা, শ্রমিক নেতা সুখেন্দু গোস্বামী, আবদুল খালেক খান, দেবব্রত বিশ্বাস, মীর কাশেম মোল্লা ও সুবল দাস। এদিনও ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ভেস্তে যাওয়ায় ফের বিক্ষোভে ফেটে পড়েন মহকুমার শ'য়ে শ'য়ে ধর্মঘটী বিড়ি শ্রমিক। তারা তাদের দীর্ঘ যন্ত্রণার কথা ন্যুনতম ২৫০ টাকা মজুরি দিতে মালিকর নানান টালবাহানা চালিয়ে আসছে। বাজারে জিনিসপত্রের দাম আকাশ ছোঁয়া। গ্রামে গ্রামে ১০০ দিনের কাজ বন্ধ। বিড়ি বেঁধেই সংসারের জোয়াল টানতে টানতে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। এই কথা জানাতে আমরা মহকুমা শাসকের দ্বারস্থ হয়েছি। আমরা ভাঙচুর করতে আসি নি। তবুও মাদের আটকাতে এত পুলিশ? বসিরহাট স্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে মিছিল স্টেশন রোড, এস এন মজুমদার রোড, ইটিন্ডা রোড ধরে আসে বসিরহাট ইছামতি সেতু সংলগ্ন মহকুমা শাসকের মূল প্রবেশদ্বারের। তখন সেখানে মূল প্রবেশদ্বার বন্ধ করে রেখে আঁটোসাঁটো পুলিশি ব্যবস্থা। শ্রমিকদের শান্তিপ্রিয় অবস্থান শুরু হয়। অবস্থান চলাকালীন সভায় বক্তব্য রাখেন নূর ইসলাম মোল্লা, ফজের গাজি, সাত্তার গাজি,স্বপন চক্রবর্ত্তী, সোমনাথ বসু। স্মারকলিপি পাঠ করে শোনান দেবব্রত বিশ্বাস। সভাপতিত্ব করেন রফিকুল মোল্লা। সভা থেকে শ্রমিক নেতৃবৃন্দ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, মহকুমা শাসক সমস্যার সমাধানে এগিয়ে না এলে বসিরহাট মহকুমা স্তব্ধ করে দেওয়া হবে। প্রয়োজনে রেল, সড়ক অবরোধ চালিয়ে যাবে যতক্ষণ না ন্যুনতম ২৫০ টাকা মজুরি দিতে বাধ্য হয় মালিকরা। সভা থেকে মালিকদের গ্রেপ্তারের দাবি জানায় নেতৃবৃন্দ। প্রতিনিধি দলের সাথে আলোচনা পর্বে মহকুমা শাসক সমব্যথী সে কথা তিনি জানান। শ্রমিকদের মুখে হাসি ফোটাতে মজুরি চুক্তির আশ্বাস দেন। ধর্মঘট জারি থাকবে। ফিরে এসে আলোচনার নির্যাস ব্যাখ্যা করেন নূর ইসলাম মোল্লা।
Beedi Workers
বেপরোয়া মালিকপক্ষ, ভেস্তে গেল ত্রিপাক্ষিক, বসিরহাটে ফের মিছিল বিড়ি শ্রমিকদের
×
Comments :0