এই সরকারি স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদে এবং অবিলম্বে ওয়ালেট খুলে দেওয়ার দাবিতে মঙ্গলবার পথে নামলেন তথ্যমিত্র কর্মীরা। অল বেঙ্গল সিএসসি ভিএলই ইউনিয়নের ব্যানারে এমজি রোড মেট্রো স্টেশনের কাছে তথ্যমিত্র কেন্দ্রের সদর দপ্তর ঘেরাও করেন তাঁরা। বিক্ষোভ শেষে পাঁচ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল ডেপুটেশন জমা দেন দপ্তরের আধিকারিকদের কাছে। প্রতিনিধি দলে ছিলেন সংগঠনের সভাপতি ইন্দ্রজিৎ ঘোষ, সম্পাদক অনির্বাণ রায়, রেজাউল ইসলাম, রাজীবুল মোল্লা প্রমুখ। এদিনের ঘেরাও আন্দোলনে উপস্থিত ছিলেন সিআইটিইউ পশ্চিমবঙ্গ কমিটির সভাপতি সুভাষ মুখার্জিও।
ডেপুটেশন দিয়ে এসে নেতৃবৃন্দ জানান, আন্দোলনের চাপে রাজ্য প্রশাসন বাধ্য হয়েছে সমস্ত ওয়ালেট খুলে দিতে। তাঁরা আশ্বাস দিয়েছেন, এই ধরণের ঘটনা ভবিষ্যতে আর ঘটবে না, এবং আগামীদিনে তথ্যমিত্র কর্মীদের টাকাও কেটে নেওয়া হবেনা। যদিও আগের টাকা এখনও কর্মীদের ওয়ালেটে ঢোকেনি বলেই খবর।
এদিনের আন্দোলন প্রসঙ্গে ইন্দ্রজিৎ ঘোষ বলেন, অন্যায্যভাবে কেটে নেওয়া টাকাগুলি ফেরত দিতে কিছুটা সময় চেয়েছে কর্তৃপক্ষ। আমরা সেই সময় দেব। কিন্তু তারমধ্যে কাজ না হলে আবারও রাস্তায় নামব আমরা। তিনি আরও বলেন, এই ঘটনার পাশাপাশি আমার তথ্যমিত্র কেন্দ্রের আরও কয়েকটি মৌলিক সমস্যা সমাধানের দাবি জানিয়েছি ডেপুটেশনে। প্রথমত, ই-শ্রম পোর্টালে যে ৮০:২০ অনুপাতে ব্যবস্থা চালু আছে তাকে সর্বজনীন করতে হবে কর্তৃপক্ষকে। ৮০:২০ নিয়ম অনুযায়ী আয়ের ২০শতাংশ টাকা এজেন্সির লোকেরা পাবেন এবং বাকি ৮০শতাংশ টাকা গ্রাহকদের মধ্যে দিয়ে দেওয়া হবে। আমাদের দাবি, আইআরসিটিসি থেকে শুরু করে অন্য সমস্ত পোর্টালেও এই ব্যবস্থা চালু করতে হবে।
Comments :0