প্রশাসনের অনুমতি না পেয়ে বৃহস্পতিবার বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এজলাসে অনুমতি চেয়ে মামলা দায়ের করেছেন চাকরি প্রার্থীরা। সোমবার এই মামলার শুনানি হবে বলে আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
আন্দোলনকারিরা জানিয়েছেন ওই দিন তারা হাতে লন্ঠন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর খোঁজে কালিঘাটে যাবেন।
পয়লা বৈশাখের দিন চাকরি প্রার্থীদের সাথে দেখা করতে গিয়ে সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর নিজের দপ্তরের অধীনে পড়ে গ্রুপ ডি’র নিয়োগ। সেই নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। এর দায় তিনি এড়িয়ে যেতে পারেন না। মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন, স্কুল সার্ভিস কমিশন তাঁর অধীনে নয় বলে নিজের দায় এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা তিনি করেছেন। কিন্তু এই ক্ষেত্রে তিনি তা এড়িয়ে যেতে পারেন না।’’
প্রায় ২৫০ দিন ধরে মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির সামনে অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছেন গ্রুপ ডি চাকরি প্রার্থীরা। তাঁদের দাবি, লেখা পরীক্ষায় এবং ইন্টারভিউতে যারা পাশ করেছেন তাদের নিয়োগ হয়নি। ২০১৬ সালে ৬০ হাজার গ্রুপ ডি নিয়োগের কথা হলেও ৫৪২২ জনের একটি নিয়োগ তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেই নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে বলে আদালতে অভিযোগ জানিয়েছেন চাকরি প্রার্থীদের। চাকরির দাবিতে একাধিকবার কালিঘাটে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে দেখা করে নিজেদের বঞ্চনার কথা বলতে চেয়েছেন যোগ্য চাকরি প্রার্থীরা। কিন্তু কোন বার মুখ্যমন্ত্রী তাদের সাথে কোন কথা বলেননি। পুলিশ দিয়ে মেরে, গ্রেপ্তার করে তাদের থানায় তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
কয়েকদিন আগে হরিশ মুখার্জি, হরিশ চ্যাটার্জি রোড দিয়ে বকেয়া ডিএ’র দাবিতে আদালতের অনুমতি নিয়েমিছিল করেন সরকারি চাকরি প্রার্থীরা। সেই মিছিলে মানুষের অংশগ্রহন ছিল চোখে পড়ার মতো।
Comments :0