TMC ILLEGAL CONSTRUCTION

নিউটাউনে তৃণমূলের বেআইনি কার্যালয়, কড়া মনোভাব আদালতের

জেলা কলকাতা

CPIM MD SALIM SANDESHKHALI VIOLENCE LEFT FRONT BIMAN BASU NIRAPADA SARDAR  BENGALI NEWS

নিউটাউনে সরকারি জমি দখল করে দলীয় অফিস তৈরি করেছে তৃণমূল। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সিপিআই(এম) নিউটাউন এরিয়া কমিটির সম্পাদক সপ্তর্ষি দেব। মঙ্গলবার আদালত নিউটাউনের দায়িত্বে থাকা হিডকো এবং এনকেডিএ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে দ্রুত রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে। যদি দেখা যায় নির্মাণ অবৈধ, সেই মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি অমৃতা সিনহা’র এজলাসে মঙ্গলবার মামলার শুনানি হয়। পিটিশনে সপ্তর্ষি দেব জানান, নিউটাউনের  বিএ ব্লকে, ডিই ব্লকে এবং সুখবৃষ্টির উল্টোদিকে কাজা গ্রামে ঢোকার মুখে, হিডকোর শেষ প্রান্তে গত কয়েক মাসের মধ্যে এই অবৈধ নির্মাণগুলি করা হয়েছে। সরকারি জমি দখলে নাম জড়িয়েছে রবিউল মল্লিক, অনুপম মাইতি, তপন মন্ডলের মত স্থানীয় জ্যাংড়া হাতিয়ারা-২ এবং পাথরঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য এবং নেতাদের।

অমৃতা সিনহা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন, যত দ্রুত সম্ভব পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট আদালতে জমা করতে হবে। একইসঙ্গে নিউটাউন থানার পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন, এটা নিশ্চিত করতে, যে ওই দলীয় কার্যালয়গুলি থেকে কোনও রাজনৈতিক কর্মকান্ড যেন পরিচালিত না হয়। এনকেডিএ এবং হিডকো’র রিপোর্টে যদি প্রমাণ মেলে যে নির্মাণগুলি অবৈধ, তাহলে কড়া ব্যবস্থা নেবে আদালত। 

আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার আগে নিউটাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি বা এনকেডিএ’র চেয়ারপার্সন আলাপন বন্দোপাধ্যায় এবং  ডব্লিউবিহিডকো’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর সঞ্জয় বনশলকে চিঠি দিয়ে অভিযোগ জানান সপ্তর্ষি দেব।  চিঠির প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে এনকেডিএ’র মুখ্য এক্সিকিউটিভ অফিসার এবং নির্বাচন কমিশনের এরাজ্যের সিইও’র কাছেও। এই অবৈধ দপ্তরগুলিতে দুষ্কৃতী মজুত করে লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল ভোট লুটের চেষ্টা করতে পারে বলেও অভিযোগ করেছিলেন তিনি। 

এই প্রসঙ্গে সপ্তর্ষি দেব বলেছেন, ‘‘নিউটাউনের মানুষের দাবি, বেআইনি দলীয় কার্যালয়গুলি ভেঙে জমির দখল নিতে হবে হিডকো’কে। সেই জমি নাগরিক পরিষেবা উন্নয়নের কাজে ব্যবহার করতে হবে।’’

পিটিশনারের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন সামিম আহমেদ, সালোনি ভট্টাচার্য, আম্বিয়া খাতুন এবং অর্করঞ্জন ভট্টাচার্য। প্রসঙ্গত, ৪ এপ্রিল এই সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় গণশক্তির পাতাতেও।

Comments :0

Login to leave a comment