Modi

সংসদে কুম্ভের প্রশংসা মোদীর, চুপ থাকলেন মেলায় মানুষের মৃত্যু নিয়ে

জাতীয়

মহাকুম্ভের আয়োজন গোটা বিশ্বের কাছে ভারতের মুখ উজ্জ্বল করেছে বলে মঙ্গলবার লোকসভায় দাবি করলেন প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নিজের ঢাক নিজেই পেটালেন, কিন্তু চুপ করে থাকলেন কুম্ভে পদপিষ্ট হয়ে মানুষের মৃত্যু নিয়ে। তিনি বলেন, ‘‘প্রশাসন এবং উত্তরপ্রদেশের সাধারণ মানুষকে অভিনন্দন জানাতে চাই সুষ্ঠু ভাবে মহাকুম্ভ আয়োজন করার জন্য। কুম্ভের মাধ্যমে ভারতের গৌরবময় ঐতিহ্যের সাক্ষী থেকেছে গোটা বিশ্ব।’’
বিরোধীদের কটাক্ষ করে তিনি লোকসভায় বলেন, কুম্ভ নিয়ে বিরোধীরা যেই সংশয় প্রকাশ করেছিলেন তা ভ্রান্ত বলে প্রমানিত হয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সংসদে যেই কথা বলছেন তার সাথে কুম্ভে ঘটে যাওয়ার ঘটনার কোন মিল নেই। কুম্ভ মেলায় বিপর্যয় শুরু হয় তাঁবুতে আগুন লাগার মধ্যে দিয়ে। তারপর মৌনী অমাবস্যার দিন পদপিষ্ট হয়ে বহু দর্শনার্থীর মৃত্যু হয়। তারপর প্রধানমন্ত্রী গিয়েছিলেন কুম্ভে ডুব দিয়ে স্নান করেছিলেন কিন্তু এই মানুষের মৃত্যু নিয়ে কোন কথা বলেননি। 
কুম্ভে সাধারণ দর্শনার্থীরা গুরুত্ব পায়নি যোগী সরকারের কছে। তাদের কাছে গুরত্ব পেয়েছেন ভিভিআইপি’রা অন্তত এমনটাই বলছেন আখড়ার সাধু থেকে প্রশাসনিক ব্যবস্থা। কুম্ভ মেলাকে কেন্দ্র করে নদীর ওপর একাধিক অস্থায়ী ব্রিজ তৈরি করা হয়। যার মধ্যে ২৮টি অস্থায়ী ব্রিজ ছিল ভিআইপিদের জন্য। মাত্র একটি ছিল সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য। যেই মানুষকে নিয়ে ধর্মের রাজনীতি করে বিজেপি আরএসএস সেই মানুষের জন্য বরাদ্দ অস্থায়ী ব্রিজের সংখ্যা মাত্র একটি। আর এই ভিআইপিদের তালিকায় নাম আছে রাজনাথ সিং, অমিত শাহদের মতো শীর্ষ বিজেপি নেতাদের।  
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে মহামণ্ডলেশ্বর প্রেমানন্দ বলেন, ‘প্রশাসন ব্যাস্ত ছিল ভিআইপিদের জন্য। কুম্ভ মেলা, মেলা সংক্রান্ত কোন বিষয় তাদের নজর ছিল না। বার বার বলা হয়েছিল সেনার হাতে কুম্ভমেলা ছেড়ে দেওয়ার জন্য কিন্তু তারা তা করেনি। সেনার হাতে গোটা ব্যবস্থা থাকলে আজ এই পরিস্থিতি তৈরি হতো না।’ 
এদিন প্রধানমন্ত্রী প্রয়াজরাজে কুম্ভ মেলাকে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সাথে তুলনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় ভারতের রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক যেই উন্মেশ ঘটেছিল সেই উন্মেশ লক্ষ করা গিয়েছে এবারের কুম্ভ মেলায়।

Comments :0

Login to leave a comment