FARMERS AMBALA

দ্বিতীয় দিনেও কৃষকদের ওপর কাঁদানে গ্যাস আম্বালায়

জাতীয়

ফের ড্রোন থেকে টিয়ার গ্যাস ছুঁড়তে শুরু করেছে হরিয়ানার পুলিশ। আম্বালা থেকে কৃষকদের এগতে দেওয়া যাবে না, বিজেপি সরকারের এই মনোভাব স্পষ্ট। দিল্লিতে বুধবার আরও কড়া হয়েছে ঘেরাটোপ। অন্নদাতাদের আটকাতে দুর্গ সাজাচ্ছে কেন্দ্র এবং রাজ্যের বিজেপি সরকার। 
ড্রোন ঠেকানোর চেষ্টায় ঘুড়ি ওড়াতে দেখা যাচ্ছে আম্বালায়। ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে গোয়েন্দা নজরদারির জন্য। কিন্তু এত করেও দ্বিতীয় দিনে জমায়েত কমেনি কৃষকদের। 
সোমবারই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছে সংযুক্ত কিসান মোর্চা। ১৬ ফেব্রুয়ারি গ্রামভারত বন্‌ধের ডাক দিয়েছে সারা ভারত কৃষকসভার মতো শতাধিক সংগঠন। আম্বালায় পুলিশি দমনের কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে। 
আম্বালায় সমবেত কৃষকরা মোর্চার বাইরে থাকা কয়েকটি সংগঠনের অনুগামী। কিন্তু তাতে সংহতি জানানো থেকে সরে থাকছে না সংযুক্ত কিসান মোর্চা। ১৫ ফেব্রুয়ারি পঞ্জাবের বিভিন্ন জায়গায় সংহতি জানিয়ে রেল রোকো হতে পারে। 
আম্বালার শম্ভু বর্ডারের কৃষকদের সঙ্গে সারা দেশে দাবি উঠেছে, ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করতে আইন আনতে হবে নরেন্দর মোদী সরকারকে। দু’বছর আগে প্রতিশ্রুতি দিলেও তা পালন করেনি কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। ২০২০ থেকে দিল্লির বছরভর সংগ্রামের পর্বে কৃষক নেতাদের জামিন অযোগ্য ধারায় অভিযুক্ত করা হয়েছিল। প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও অভিযোগ তুলে নেয়নি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দিল্লি পুলিশ। ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বা এমএসপি ২৩ শস্যে কেবল চালু করার দাবি রয়েছে। সব ফসলে চালু করার দাবিও তুলছেন কৃষকরা। 
কৃষিবিজ্ঞানী এমএস স্বামীনাথনকে ভারতরত্ন দিলেও তাঁর সূত্র অনুযায়ী ফসলের খরচের সঙ্গে ৫০ শতাংশ যোগ করে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ঠিক করা হচ্ছে না, সব কৃষক সংগঠন এই অভিযোগেও সরব। স্বামীনাথন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী ঋণের দায় বা পারিবারিক শ্রম বিবেচনায় ধরে খরচের হিসেবই করা হচ্ছে না, বলেছেন হান্নান মোল্লার মতো কৃষক নেতারা। 
সংযুক্ত কিসান মোর্চা ১৬ ফেব্রুয়ারি সব সংগঠনের ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের ডাক দিয়েছে।

দিল্লির শম্ভু সীমান্তে কৃষকদের অধিকারের দাবিতে দমন-পীড়ন এবং মোদী সরকারের অত্যাচারী নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নিন্দা জানিয়েছে সিপিআই(এম)। সরকার ভারতীয় কৃষকদের সাথে শত্রু হিসাবে আচরণ করছে বলে কড়া সমালোচনা করেছে সিপিআই(এম)। ‘‘আমরা কৃষকদের উপর মোদী সরকারের দমন-পীড়নের তীব্র নিন্দা করছি। কৃষকদের দিকে টিয়ারশেল নিক্ষেপের জন্য ড্রোনের ব্যবহার অত্যন্ত নিন্দনীয়’’।  

Comments :0

Login to leave a comment