রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে কয়েক দিন আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন চীনের বিদেশ মন্ত্রী। এবার রাশিয়া সফরে এই বিষয় ঘোষনা পত্র সাক্ষর করলেন দুই দেশের রাষ্ট্রপতি।
দুদিনের রাশিয়া সফরে যান চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিন পিঙ। সেখানে রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ঘোষনা পত্র সাক্ষর করেন তিনি। সেই ঘোষনা পত্রে বলা হয়েছে যে, ‘দুই দেশ চায় যাতে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে শত্রুতা এবং বিদ্বেশ এড়িয়ে চলা যায়। তাছাড়া এই যুদ্ধের ফলে গোটা বিশ্বে যেই সঙ্কট তৈরি হয়েছে তা যেন আরও খারাপ জায়গায় না গিয়ে পৌঁছায় তার থেকে বিরত থাকা প্রয়োজন।’
চীনের পক্ষ থেকে শির রাশিয়া সফরের আগে বলা হয় যে দুই দেশের উচিত আলোচনার মাধ্যমে এই সঙ্কট থেকে বেরিয়ে আসার। রাশিয়ার পক্ষ থেকে চীনের এই শান্তি প্রস্তাবকে সমর্থন করা হয়েছে। মস্কোর কথায়, তারা ইউক্রেন এবং পশ্চিমী দেশ গুলির সাথে আলোচনায় বসতে রাজি। তবে রাশিয়া মনে করে যে, সেই ক্ষেত্রে পশ্চিমী দেশ গুলির মধ্যে আলোচনায় অংশ নেওয়ার কোন ইচ্ছা বা আগ্রহ নেই।
ঘোষনা পত্রে পৃথিবীর সমস্ত দেশের বৈধ উদ্বেগকে সম্মান দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে দুই দেশের পক্ষ থেকে।
রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে এবং গোটা বিশ্বে নিজেদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে ভাবে ন্যাটো কে ব্যাবহার করছে সেই কথাও দুই দেশের শীর্ষ নেতাদের আলোচনায় উঠে এসেছে। এশিয়া মহাদেশে ন্যাটোর প্রভাব বিস্তারের ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ি করেছে দুই দেশ।
ঘোষনা পত্র রাশিয়া এবং চীনের পক্ষ থেকে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের একতরফা সামরিক ক্ষমতা নিশ্চিত করার জন্য আর্ন্তজাতিক এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা ক্ষুন্ন করছে।
রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ ছাড়া সামরিক শক্তি সহ একাধিক বিষয় ঘোষনা পত্র সাক্ষরিত হয়েছে দুই দেশের মধ্যে। রাশিয়া এবং চীন দুই দেশ একে অপরের সাথে নিয়মিত যৌথ সামরিক মহড়া পরিচালনা করবে এবং নিজেদের মধ্যে সশস্ত্র বাহিনীর সহযোগীতা তারা বাড়াবে।
গোটা বিশ্বে খাদ্য এবং জ্বালানির নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এই দুই দেশ গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করবে বলে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছন চীনের রাষ্ট্রপতি।
Comments :0