২০২২ সালের আগস্ট মাসে বিলকিস বানোকে ধর্ষণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত ১১জন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বিজেপি কর্মীকে মুক্তি দিয়েছিল গুজরাট সরকার। সরকারের সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতের শরনাপন্ন হন বিলকিস বানো। বুধবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। বিলকিসের আইনজীবী শোভা গুপ্ত’র দাবি, এর আগে পাঁচবার শুনানির জন্য নির্দিষ্ট হলেও এই মামলার শুনানি হয়নি। শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি জানান, এই মামলার জন্য একটি বিশেষ বেঞ্চ গঠন করা হবে।
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের তরফে এই মামলার জন্য বিচারপতি কেএম জোসেফ এবং বিচারপতি বিভি নাগারথনাকে নিয়ে দুই সদস্যের একটি বেঞ্চ গঠন করা হয়। সেই বেঞ্চেই ২৭ মার্চ এই মামলার শুনানি হবে।
২০০২ সালে গুজরাটে বিজেপি এবং সংঘ পরিবার গণহত্যা চালায়। কট্টর হিন্দুত্ববাদী কর্মী সমর্থকদের হাতে কয়েক হাজার মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ খুন হন। সেই সময় বিলকিস বানোকে দলবদ্ধ ভাবে ধর্ষণ করা হয়। ৩ বছরের সন্তান সহ বিলকিসের পরিবারের মোট ১৪ জন সদস্যকে তাঁর চোখের সামনে হত্যা করে হিন্দুত্ববাদীরা। নিহতদের মধ্যে ৮জন নাবালকও ছিল। সেই ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হন ১১ জন আরএসএস-বিজেপি কর্মী। তাঁদের যাবজ্জীবন কারাদন্ডের নির্দেশ দেয় মুম্বইয়ের বিশেষ সিবিআই আদালত।
কিন্তু ২০২২ সালে সুপ্রিম কোর্টের একটি নির্দেশকে হাতিয়ার করে ২০২২ সালের ১৫ আগস্ট ১১জনকেই মুক্তির নির্দেশ দেয় গুজরাট সরকার। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ফের লড়াই শুরু করেন বিলকিস।
Comments :0