গমের মজুত পনের বছরে সবচেয়ে কম। তার মধ্যেই গম চাষের জমি কমছে দেশে। রবি মরশুমে প্রধান ফসল গম। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত আগের বারের তুলনায় ৪ লক্ষ হেক্টর কম জমিতে বীজ বোনা হয়েছে।
কেবল গমই নয়, শীতের চাষ বা রবি ফসলের এলাকা দেশে ১৬ লক্ষ হেক্টরেরও বেশি কমেছে। বিশেষজ্ঞ এবং পরিবেশবিদরা তার জন্য অংশত দায়ী করছেন জলবায়ু পরিবর্তনকে। বিশেষত ‘এল নিনো’-র প্রভাবে অসময়ের বৃষ্টিপাত এবং মরশুমে বৃষ্টিপাতে ঘাটতি, দুই-ই প্রভাব ফেলছে চাষে।
পরিবেশ বিষয়ক ওয়েবসাইট ‘ডাউন টু আর্থ’ রবি ফসলে সঙ্কটের এই তথ্য হাজির করেছে। কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রকের পরিসংখ্যান ঘাঁটলেই দেখা যাচ্ছে রবি ফসলে সমস্যার মুখে দেশ।
ভারত বিশ্বে গমের উৎপাদনে তিন নম্বরে। তা হলেও গম আমদানি করতে হয়। গমের মতো প্রায় সব রবি ফসলের বীজ বোনার কাজ শেষ হয়ে যায় ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ নাগাদ। ফসল পাকতে মার্চ-এপ্রিল।
২০২২’র ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে গম চাষের জমি দেশে ছিল ৩ কোটি ২৪ লক্ষ ৫০ হাজার হেক্টর। ২০২৩’র ডিসেম্বরে গম চাষের আওতায় এসেছে ৩ কোটি ২০ লক্ষ ৫০ হাজার হেক্টর।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বর্ষার ভালো না হলে মাটিতে জলীয় অংশ কমে যায়। রুক্ষ হয়ে যায় জমি। শীতে গম চাষে সমস্যা হয়। কর্ণাটকের উদাহরণও দিচ্ছেন তাঁরা। দক্ষিণের এ রাজ্যে মাইশোর ছাড়া আর সব জেলায় বৃষ্টিপাতে ঘাটতি ছিল। কর্ণাটকে গম চাষের জমিতেও গুরুতর ঘাটতি দেখা যাচ্ছে।
কেবল এই একটি রাজ্যই নয়, প্রভাব পড়ছে মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, ওডিশা, অন্ধ্র প্রদেশ, ছত্তিশগড়ের মতো রাজ্যগুলিতেও।
গত বছর আবার সমস্যা হয়েছিল মার্চে বৃষ্টি নামায়। মাঠের ফসল নষ্ট হয়েছিল। কৃষক সংগঠনগুলি বারবারই কৃষিতে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সঙ্কটে দ্রুত সরকারি হস্তক্ষেপের দাবিতে সরব। কৃষক আন্দোলনের অভিযোগ, বহুক্ষেত্রে সরকারি ঘোষণা হয় রাজনৈতিক বিবেচনা থেকে। কিন্তু গ্রামের আলপথে সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন আর দেখা যায় না।
WHEAT ACREAGE DOWN
গমের চাষ কমল ৪ লক্ষ হেক্টর, ফের সঙ্কটের শঙ্কা দেশে
×
Comments :0