প্রশিক্ষণ চলছে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অনীত ঘোষ তত্ত্বাবধানে। প্রশিক্ষণ চলছে আট বছর ধরে। প্রশিক্ষণ শিবিরে আন্তর্জাতিক খেলায় অংশ নেওয়ার জন্য জমি বন্ধক রেখে কিনতে হলো রিকাব ধনুক।
জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন খোড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তোড়ল পাড়া এলাকায় ওই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সাইয়ের দুই প্রশিক্ষককে নিয়ে তিরন্দাজির শিবির করছেন তোড়ল পাড়া নেতাজি বিদ্যাপীঠের মাঠে। গ্রামীণ এলাকার নিম্নবিত্ত ঘরের কুড়ি থেকে পঁচিশ জন ছাত্র ও ছাত্রী এখানে রোজ বিদ্যালয় ছুটির পর প্রশিক্ষণ নেয়। কেউ রাজ্য স্তরে কেউ জাতীয় স্তরে জয়ী হয়ে সাফল্য এনেছে । তিরন্দাজি প্রশিক্ষণ শিবিরের এক প্রতিভাবান খেলোয়াড় পাপ্পু রায় জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে। জমি সহ গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র বন্ধক রেখেছে। কারণ জাতীয় স্তরের খেলার জন্য সাধারণ ধনুক হলেও হয়। কিন্তু আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আর্চারি খেলতে নামলে রিকাব ধনুক দরকার। তাই নিজেদের বাড়ি বন্ধক রাখতে হয়েছে।
অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অনীত ঘোষ বলেন, এখানে অনেক ছাত্রছাত্রী আর্চারি খেলার জন্য আগ্রহ দেখাচ্ছে। কিন্তু এই ধরনের খেলাতে অনেক পরিকাঠামো দরকার। যার জন্য দরকার অর্থ। এই প্রশিক্ষণ শিবির থেকে জেলা ও রাজ্য স্তরের প্রতিযোগিতায় সাফল্য এলেও এখনো পর্যন্ত মেলেনি কোন সরকারি সাহায্য। পরিকাঠামো সরকারি সাহায্য ব্যতিরেকে এই শিবিরের খেলোয়াড়রা এত দূর পর্যন্ত এগোলেও পরবর্তী পর্যায়ে যেতে প্রয়োজন সরকারি সাহায্য।
এ বিষয়ে এগিয়ে আসার জন্য জেলা ক্রীড়া সংস্থা এবং ক্রীড়া দপ্তরের কাছে সহায়তার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
Archery Traing Camp
নেই সরকারি সহায়তা, জমি বন্ধক দিয়ে কিনতে হচ্ছে ধনুক
×
Comments :0