শুদ্ধসত্ব গুপ্ত- ডানকুনি
হুগলী তো বটেই। পাশের জেলা থেকেও আসছেন মানুষ। গন্তব্য ডানকুনি। আজ সমাবেশ এখানেই। সিপিআই(এম)’র ২৭তম পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্মেলনের প্রতিনিধি অধিবেশনের সমাপ্তির পর ডানকুনি ফুটবল ময়দানে প্রকাশ্য হবে। সম্মেলনের নির্দিষ্ট লক্ষ্য জনতার কাছে এই সমাবেশে জানাবেন সিপিআই(এম) নেতৃবৃন্দ। বেলা সাড়ে বারোটায় বি
সমাবেশ সফল করতে সিপিআই(এম) কর্মীরা ব্যাপক প্রচার করেছেন, বহু মানুষের সমাগম ঘটবে বলে জানিয়েছেন পার্টি নেতৃবৃন্দ। সমাবেশে ভাষণ দেবেন সিপিআই(এম)’র কেন্দ্রীয় কমিটির কো-অর্ডিনেটর প্রকাশ কারাত, পার্টির রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, পার্টিনেত্রী দেবলীনা হেমব্রম এবং মীনাক্ষী মুখার্জি। সভায় সভাপতিত্ব করবেন পার্টির রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ও সম্মেলনের অভ্যর্থনা কমিটির সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ।
বিদ্যাসাগর সেতুতে বাস। সিপিআই(এম) কর্মী সমর্থকরা যাচ্ছেন থানকুনি সমাবেশে ।
এই সমাবেশকে সফল করতে গত এক মাস ধরে লাগাতার জেলা জুড়ে প্রচার, পোস্টারিং, পাড়া বৈঠক হয়েছে। মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য প্রকাশ্য সমাবেশের প্রচার কিছুটা ব্যাহত হলেও মাধ্যমিক শেষ হতেই আবার নিয়মিত ছন্দেই প্রচার হয়েছে। ডানকুনির সিপিআই(এম) নেতা মানিক সরকার জানান, ডানকুনি শহরের বিভিন্ন জনবহুল স্থলে ৫টি হোর্ডিং লাগানো হয়েছে। প্রচুর কাটআউট ব্যানার লাগানো হয়েছে। রক্তপতাকায় সেজে উঠেছে ডানকুনি। মানুষের উৎসাহ চোখে পড়েছে। এলাকার বাসিন্দা, কর্মচারী, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অনেকেই বলেছেন, আমাদের জেলায় এত বড় সম্মেলন হচ্ছে তাতে আমরা গর্বিত। যেখানেই পার্টিকর্মীরা রাজ্য সম্মেলনের প্রচারে অর্থ সংগ্রহে গিয়েছেন, সেখানেই মানুষ বলে উঠেছেন শিক্ষা স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ধ্বংস হয়েছে তৃণমূল আমলে। রবিবার দুর্গাপুর রোড চৌমাথায় ও কালীপুর মোড়ে একটি করে ক্যাম্প করা হয়েছে। সেখান থেকে পার্টিকর্মীরা মানুষকে নিয়ে সমাবেশস্থলে আসবেন। বড় জমায়েত হবে আশা করছেন পার্টি নেতৃবৃন্দ।
গত শনিবার থেকে ডানকুনি কোল কমপ্লেক্সের শান্তি মঞ্চে চলছে সিপিআই(এম)’র রাজ্য সম্মেলন। শ্রমিক-কৃষক আন্দোলন সহ বহু গণআন্দোলনের ঐতিহ্যসম্পন্ন হুগলী জেলার ডানকুনিতে চারদিনব্যাপী সম্মেলন শেষ হবে মঙ্গলবার দুপুরে। তারপরেই ডানকুনির ফুটবল ময়দানে দুপুর ২টোয় শুরু হবে প্রকাশ্য সমাবেশ। পার্টির রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, খসড়া রাজনৈতিক সাংগঠনিক প্রতিবেদনের ওপরে প্রতিনিধিদের আলোচনা সোমবারই শেষ হয়েছে। খসড়া প্রতিবেদনের ওপরে একশোর বেশি সংশোধনী, সংযোজনী, মতামত ইত্যাদি জমা পড়েছে। সেগুলি পর্যালোচনার পরে মঙ্গলবার চূড়ান্ত প্রতিবেদন গৃহীত হবে। সেই সঙ্গে এদিনই বিশেষ অধিবেশন করে আগামী কর্মসূচি যা পেশ করা হয়েছে তার ওপরেও সংশোধনী সংযোজনী পর্যালোচনা করে তাও গ্রহণ করা হবে। এরপরে দুপুরে ডানকুনি ফুটবল ময়দানে প্রকাশ্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে, তাতে সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।
Comments :0