বিশ্বের ৩৮ শতাংশ উদ্ভিদ প্রজাতি লোপ পেয়ে যাওয়ার মুখে। গাছ কেটে বসতি এবং শিল্প স্থাপন যেমন কারণ তেমনই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবও পড়ছে বিপজ্জনক মাত্রায়।
ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অব কনজারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন) সমীক্ষায় এই আশঙ্কা জানিয়েছে। ‘বিশ্ব উদ্ভিদ মূল্যায়ন’ সংক্রান্ত রিপোর্ট এই প্রথম এত বড় মাপের উদ্ভিদ সমীক্ষা করেছেন বলে জানাচ্ছেন পরিবেশবিদরা।
সমীক্ষায় ইতিবাচক অভিজ্ঞতাও জানানো হয়েছে। সামাজিক সচেতনতা গড়ে যৌথ প্রয়াসে বিরলপ্রায় গাছের প্রজাতি বাঁচানো হচ্ছে কিউবায়। মাদাগাস্কার বা ফিজি দ্বীপপুঞ্জেও এমন অভিজ্ঞতার উল্লেখ করেছে সমীক্ষা।
সমীক্ষা বলছে, ক্রান্তীয় অঞ্চলে দ্বীপাঞ্চল ঘিরে শঙ্কা সবচেয়ে বেশি। সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধি এবং ঘনঘন তীব্র ঝড় বিভিন্ন প্রজাতির টিঁকে থাকার সঙ্কট বাড়িয়ে দিচ্ছে।
উদ্ভিদ প্রজাতির সঙ্কট প্রসঙ্গে সমীক্ষা প্রতিবেদনে লাতিন আমেরিকার উদাহরণ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বৈচিত্রময় উদ্ভিদ প্রজাতি ওই মহাদেশে। কিন্তু ১৩ হাজার ৬৬৮ প্রজাতির উদ্ভিদের মধ্যে বিলোপের মুখে ৩ হাজার ৩৫৬ প্রজাতি।
বলা হয়েছে, আইইউসিএন’র লাল তালিকায় প্রজাতির ৫ হাজার উদ্ভিদ নির্মাণশিল্পের কারণে বিপন্ন। ২ হাজার প্রজাতি বিপন্ন ওষুধ, খাদ্য এবং জ্বালানি তৈরির জন্য।
GLOBAL TREE ASSESMENT
বিশ্বে তিনভাগের বেশি গাছের প্রজাতি বিপন্ন, জানালো সমীক্ষা
×
Comments :0