Jalpaiguri SFI

জলপাইগুড়ি শিক্ষা দপ্তর অভিযান এসএফআই’য়ের

জেলা

জেলার শিক্ষা ব্যবস্থার অবনতির জবাব চাইতে শিক্ষা দপ্তর অভিযান করল এসএফআই। শুক্রবার সকলের জন্য শিক্ষা সুনিশ্চিত করার দাবি সহ মাধ্যমিকে জলপাইগুড়ি জেলার ধারাবাহিক ব্যর্থতা এবং রাজ্যে সরকারের ভ্রান্ত শিক্ষা নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হয় ভারতের ছাত্র ফেডারেশনের জলপাইগুড়ি জেলা কমিটি।
সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি সম্মিলিত ফেস্টুন ও অসংখ্য লাল সাদা পতাকা নিয়ে সমাজপাড়া মোড় থেকে মিছিল শুরু করে শহর ঘুরে জলপাইগুড়ি জেলার স্কুল ইন্সপেক্টকের অফিসের গেটে বিক্ষোভ দেখায় এসএসআই। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক দপ্তর অভিযান কর্মসূচিতে জেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল চা বাগান সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী মিছিলে পা মেলান।
জেলার শিক্ষা ব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে ছাত্রদের আন্দোলন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সংগঠণের জেলা সম্পাদক অরিন্দম ঘোষ জানান, ‘‘ধারাবাহিক ভাবে জেলায় মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার মান নেমে যাচ্ছে, রাজ্যে সরকার সুনির্দিষ্ট ভাবে প্রত্যন্ত চা বাগান, পাহাড়ি এলাকা, বনবস্তি এবং গ্রামীণ এলাকার প্রাথমিক মাধ্যমিক স্কুলগুলোকে তুলে দিতে চাইছে, ইতিমধ্যেই জেলার ২০০টির বেশি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধের মুখে দাঁড়িয়ে। জেলার শিক্ষা ব্যবস্থার হাল বেহাল গত কয় বছরে মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিকে জেলার ফলাফল নিম্নমুখী। স্কুলের পরিকাঠামো ও পড়াশোনার মান বৃদ্ধি করে অযৌক্তিক ছুটি দেওয়া বন্ধ করে জেলার সমস্ত স্তরের ছাত্র-ছাত্রীদের সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরিয়ে আনতে সরকারি উদ্যোগ জরুরী সেই দাবি জানাতেই আমরা আজ চা বাগান বনবস্তি গ্রামাঞ্চল শহরাঞ্চল সহ জেলার সমস্ত এলাকার ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক দপ্তরে অভিযানের সামিল হয়েছি। তিনি বলেন, আমরা ডিআই’র সঙ্গে দেখা করে জেলার শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নের দাবি দাবি জানাবো। তারপরেও শিক্ষার মানোন্নয়ন না হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যেতে বাধ্য হব। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক দপ্তরে এসএফআইয়ের মিছিল পৌছলে সেখানে গেট আটকে দাঁড়ায় বিরাট পুলিশ বাহিনী। ছাত্ররা কোনরকম প্ররোচনায় পা না দিয়ে ডিআই অফিসের সামনের রাস্তায় বসে পড়ে তাদের দাবি সম্বলিত ফেস্টুন হাতে নিয়ে প্রতিবাদে সামিল হয়। প্রতিবাদ কর্মসূচি ও মিছিলে নেতৃত্ব দেন এসএফআই জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক অরিন্দম ঘোষ, জেলা সভাপতি সাব্বির হোসেন, জেলা নেতা পাপাই মোহাম্মদ অর্ণব সরকার সহ অন্যান্য ছাত্র নেতৃবৃন্দ।

Comments :0

Login to leave a comment