দীপশুভ্র সান্যাল: জলপাইগুড়ি

মাইক্রো ফিনান্সের দাপটে ভয়াবহ অবস্থা মহিলাদের। আত্মঘাতী হচ্ছে একাংশ। আরেক অংশ সর্বস্বান্ত প্রায়। এই বিপদের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে আন্দোলনের রূপরেখা স্থির করছে সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি।
জলপাইগুড়িতে মহিলা সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সভা শুক্রবারই শুরু হয়েছে সমাবেশ করে। চলবে রবিবার পর্যন্ত।
এদিন এক প্রশ্নে সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক কনীনিকা ঘোষ জানিয়েছেন মাইক্রো ফিনান্সের পাশাপাশি সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী সংগ্রামের পরিকল্পনাও চূড়ান্ত করা হচ্ছে সভায়।
(বিশদ দেখুন এই ভিডিও-তে)
সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির সভাপতি পিকে শ্রীমতী প্রতিবেদন পেশ করেন। তার ওপর আলোচনা করছেন কেনদ্রীয় কমিটির সদস্যরা। এদিন মালিনী ভট্টাচার্য, মণি থাপা, রাজস্থানের সীমা জৈন, মণিপুরের আশা বালার মতো মহিলা নেতৃবৃন্দ আলোচনায় অংশ নিয়েছেন।
কনীনিকা ঘোষ জানিয়েছেন আগস্টে দিল্লিতে সর্বভারতীয় স্তরে মাইক্রো ফিনান্স সংক্রান্ত গণশুনানি হবে। সারা দেশে সমীক্ষা করেছে মহিলা সমিতি। কেরালায় ২ হাজার, পশ্চিমবঙ্গে ১২০০, মহারাষ্ট্র, তামিলনাডুর মতো বিভিন্ন রাজ্যে হয়েছে সমীক্ষা।
ঘোষ বলেছেন, ‘‘কেউ রেগার টাকা না পেয়ে মাইক্রো ফিনান্সের দ্বারস্থ হয়েছেন। কেউ আগের ঋণ শোধ করতে ফের ধার নিচ্ছেন। একাংশকে আত্মহত্যা করতে হয়েছে। চড়া সুদ আর মাইক্রো ফিনান্স সংস্থার হেনস্তায় সবচেয়ে আক্রান্ত মহিলারা। প্রতিরোধের লড়াই লড়ছে মহিলা সমিতি।’’
২৩ জুলাই ক্যাপ্টেন লক্ষ্মী সায়গল স্মৃতি দিবস পালন করে মহিলা সমিতি। এবার এই দিনে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী সংগ্রামের ঐতিহ্য প্রচারে জোর দেওয়া হবে। কনীনিকা ঘোষ বলেছেন, ‘‘মনুবাদী ভাবধারা মোকাবিলায় স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রগতিশীল ঐতিহ্যকে হাজির করব আমরা। সেই সঙ্গে যুদ্ধবিরোধী প্রচার বাড়ানো হবে। গাজা দেখিয়েছে, হামাস নয়, আসলে ভূখণ্ড দখলই আক্রমণের উদ্দেশ্য। আক্রান্ত শিশু-মহিলারা।’’
রাজ্যে স্বনির্ভর গোষ্ঠী উঠে যাওয়া, চা বাগান বন্ধের মতো পরিস্থিতিতে মহিলাদের বিপন্নতা এবং প্রতিরোধ আলোচনা হচ্ছে। 
কনীনীকা ঘোষ বলেছেন, ‘‘বামফ্রন্ট সরকারের সময়ে স্বনির্ভর গোষ্ঠী ছিল। আর্থিকভাবে স্বনির্ভর করার কাজ চলত। সেই উদ্যোগ তৃণমূলের সময়ে আর নেই। এই গোষ্ঠী কেবল ঋণদান সমিতিতে পরিণত। কাজ হচ্ছে না।’’