DOCTOR'S RALLY

সুপ্রিম কোর্টে শুনানির আগে রাস্তায় ফের চিকিৎসকরা (দেখুন ভিডিও)

রাজ্য কলকাতা

এনআরএস হাসপাতালের সামনে থেকে চিকিৎসকদের মিছি। ছবি ও ভিডিও: প্রিতম ঘোষ এবং অরিজিৎ মণ্ডল

সুপ্রিম কোর্টে শুনানির দিন নির্ধারিত রয়েছে সোমবার। তার ঠিক আগে, রবিবার, প্রতিবাদের কন্ঠস্বর পৌঁছে দেওয়ার ডাকে রাস্তায় নামলেন চিকিৎসকরা। রাজ্যে চিকিৎসকদের যৌথমঞ্চ জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টরস মিছিল করল এনআরএস হাসপাতাল থেকে রাজভবন পর্যন্ত।
আর জি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ছাত্রীর ধর্ষণ এবং হত্যার ঘটনায় শুনানি একবার হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। বন্ধ খামে প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট দিয়েছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার পক্ষে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা প্রধান বিচারপতির বেঞ্চকে জানিয়েছেন হত্যার অকুস্থল বদলানো হয়েছে। কলকাতা পুলিশের তদন্ত প্রক্রিয়ায় প্রবল ক্ষোভ জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। পোস্ট মর্টেমে ধর্ষণ-হত্যার প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও ঘটনার অনেক পরে দায়ের অভিযোগে কেন কেবল ‘অস্বাভাবিক মৃত্যু’ বলল পুলিশ সেই প্রশ্ন তুলেছে আদালত। দেহ মেলার এগারো ঘন্টারও পর কেন এফআইআর, সে প্রশ্নের জবাবে কার্যত নিশ্চুপ থাকতে হয়েছে রাজ্য সরকারের আইনজীবী কপিল সিবালকে।
এরপর গত ৫ সেপ্টেম্বর শুনানির দিন ঠিক হলেও তা পিছিয়ে যায় প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় থাকতে না পারায়। সোমবার ফের শুনানি।   
জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টরস’র পক্ষে চিকিৎসক অরিন্দম ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টেও চিকিৎসকদের এই মঞ্চের পক্ষে আইনজীবীরা মামলা করছেন। গত কয়েক বছরে বারবার স্বাস্থ্য প্রশাসনে এবং আর জি কর হাসপাতালে একের পর এক দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। তার নথি দেওয়া হবে আদালতে। আর জি কর কাণ্ডে তথ্য প্রমাণ লোপাট থেকে তাড়াহুড়ো করে ময়না তদন্ত করে আরও দ্রুততার সঙ্গে দেহ দাহ করা হলে কাকে আড়াল করতে, সে প্রশ্ন বারবার তুলছেন চিকিৎসকরা। শীর্ষ আদালতে এ সম্পর্কেও বক্তব্য জানানো হবে। 
এদিনও স্লোগান উঠেছে, ‘পুলিশ তোমার কেন ভয়, ধর্ষক তোমার কে হয়’, ‘তেমার আমার একই স্বর আর জি কর আর জি কর’। 
স্টুডেন্টস হেলথ হোমের পক্ষে চিকিৎসক পবিত্র গোস্বামী বলেছেন, ‘‘তদন্তে খুনীদের পাশাপাশি তথ্য প্রমাণ লোপাটে কারা দায়ী খুঁজে বের করতে হবে সিবিআই-কে।’’ তিনি বলেন, রাজ্যে স্টুডেন্ট হেলথ হোম প্রতিটি কেন্দ্রে চালু হচ্ছে ‘অভয়া কেন্দ্র’। শিয়ালদহে চালু হয়ে গিয়েছে। চিকিৎসা চলবে এখানে। চিকিৎসক এবং জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াইয়ে রয়েছে স্টুডেন্টস হেলথ হোম।

Comments :0

Login to leave a comment