বিধ্বংসী ঝড়ে আমেরিকার ফ্লোরিডায় অন্তত ত্রিশ লক্ষ নাগরিক বিদ্যুৎহীন। ক্ষয়ক্ষতি ঠিক কত এখনো তা আন্দাজ করার অবস্থায় নেই স্থানীয় প্রশাসন। তবে অন্তত চারজনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে ফ্লোরিডার প্রশাসন।
হারিকেন মিলটন ভয়াবহ প্রভাব ফেলবে এই আশঙ্কা ছিলই। গত দুদিন বাসিন্দাদের প্রশাসন কেবল বলেছে ‘বাঁচতে চাইলে পালাও’। নাগরিকদের বড় অংশই সরে যেতে পেরেছেন। তবে আটকেও থেকেছেন আরেকটি অংশ।
স্থানীয়রা বলেছেন, এমন ভয়াবহ ঝড় আগে কখনো দেখা যায়নি। হারিকেন সমুদ্র উপকূলের যে অংশে আছড়ে পড়েছে তার ঠিক উল্টো অংশে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। বড় বড় বহুতলের আশেপাশের অংশ যেন চেঁছে সাফ করে দিয়েছে। উপকূলের এলাকায় পোক্ত করে বাধা ইয়াচ গুলোকে নিয়ে লোফালুফি খেলেছে, ভয়াবহ ঝড়।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন পঞ্চম স্তরের হারিকেন আছড়ে পড়ার কথা থাকলেও তা ছিল তৃতীয় স্তরের। তট রেখায় আছড়ে পড়ার আগে শক্তি হারিয়ে তা প্রথম স্তরের ঝড়ে পৌছায়। তাতেই এই ক্ষয়ক্ষতি।
আবহাওয়াবিদদের বড় অংশ এমন সামুদ্রিক ঝড়ের জন্য বিশ্ব উষ্ণায়নকে দায়ী করেছেন। যার জেরে পৃথিবীর সর্বত্র সামুদ্রিক ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হচ্ছে জনজীবন। আলোচনা প্রচুর হলেও উষ্ণায়ন রোধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সরকারই উদাসীন।
Hurricane Milton
বিধ্বংসী ঝড়ে ফ্লোরিডায় ৩০ লক্ষ বিদ্যুৎহীন
×
Comments :0