ইরানে 'সামরিক টার্গেটে সুনির্দিষ্ট হামলা' চালানোর সময় ইজরায়েল তার প্রথম সারির যুদ্ধবিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছে। ইরান হেজবোল্লাহ ও হামাসের প্রধানদের হত্যার প্রতিশোধ নিতে ইজরায়েলের দিকে প্রায় ২০০ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার কয়েকদিন পর তিন ধাপে এই বিমান হামলা চালানো হলো।
হামলার জন্য ইজরায়েল তাদের এফ-৩৫ আদির যুদ্ধবিমান, এফ-১৫আই রাম গ্রাউন্ড অ্যাটাক জেট এবং এফ-১৬আই সুফা এয়ার ডিফেন্স জেট মোতায়েন করেছে। পছন্দের অস্ত্র ছিল 'র্যাম্পেজ' দূরপাল্লার, সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং 'রকস' এক্সটেন্ডেড স্ট্যান্ড-অফ এয়ার-টু-সারফেস মিসাইল।
ইজরায়েলি সেনাবাহিনী সামরিক টার্গেটে হামলা চালায় এবং বৃহত্তর সংঘাত এড়াতে পারমাণবিক ও তেল সংক্রান্ত স্থানে টার্গেট করা থেকে বিরত রাখে নিজেকে।
ইরানের ২০টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনে তিনটি দফায় মোট ১০০টি যুদ্ধবিমান এ হামলা চালানো হয়। প্রথম দফায় ইরানের রাডার ও বিমান প্রতিরক্ষা স্থাপনায় হামলা চালানো হয়, যা সামরিক ঘাঁটিতে হামলার পথ পরিষ্কার করে দেয়। দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়।
২৫-৩০ জনের দলে ভাগ হয়ে হামলা চালায় যুদ্ধবিমান। ১০টি বিমান সমন্বিত ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে, অন্যগুলো কভার ও ডাইভারশন দিয়েছে। 'Operation Days of Repentance' নামের ওই হামলায় পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা মোকাবিলায় ইজরায়েলি ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থা জারি ছিল।
তবে ইরান বলেছে, তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সফলভাবে তেহরান, খুজেস্তান ও ইলাম প্রদেশে ইজরায়েলের হামলা প্রতিহত করেছে এবং কিছু স্থানে 'সীমিত ক্ষতি' হয়েছে। হামলার পর ইরান ও তার প্রতিবেশী ইরাক তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে।
israel hezbollah conflict
১০০ বিমান ও ২০টি টার্গেট: ইরানে যেভাবে হামলা চালাল ইজরায়েল
×
Comments :0