NRS

এনআরএস’র দেড়শ বছর

রাজ্য কলকাতা

NRS

নীলরতন সরকার মেডিক্যাল স্কুল অ্যাণ্ড কলেজের দেড়শ’ বছর পূর্তি মিলনোৎসব তিনদিন ব্যাপী হতে চলেছে হাসপাতাল প্রাঙ্গণেই। উদ্যোক্তা এনআরএস মেডিক্যাল স্কুল অ্যাণ্ড কলেজ এক্স স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি উৎসবের সূচনা হবে। মঙ্গলবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের এ খবর জানিয়েছেন উদ্যোক্তাদের পক্ষে বিশিষ্ট শল্য চিকিৎসক ডাঃ মানস গুমটা, ইএনটি বিশেষজ্ঞ ডাঃ দ্বৈপায়ন মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। 


তাঁরা জানিয়েছেন, তিনদিন ব্যাপী এই অনুষ্ঠানে এনআরএস-এর আড়াই হাজার প্রাক্তনী দেশ-বিদেশ, রাজ্য থেকে অংশ গ্রহণ করবেন। সার্ধশতবর্ষের এই ঐতিহাসিক মুহূর্তকে বর্ণময় করে তুলতে ইতিমধ্যে নানা কর্মসূচি নিয়েছেন হাসপাতালের প্রাক্তনীরা। যদিও গত ১ডিসেম্বর হাসপাতালের দেড়শ বছর পূর্তি উৎসবের সূচনা করেন রাজ্যপাল, তবুও তিনদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানে প্রাক্তনীরা সায়েন্টিফইক সেশসন, কর্মশালা, আলোচনাসভা, প্রশ্নোত্তর পর্ব থাকবে। এই হাসপাতালের প্রাক্তনীরা, যাঁরা বিদেশ চিকিৎসা করছেন তাঁরাও কলকাতা ও বিদেশের চিকিৎসা, রোগী ও রোগীর পরিজন, চিকিৎসকদের ব্যবহার, চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতি ইত্যাদি বিষয়ে নিয়ে মতবিনিময় করবেন। শুধু আলোচনা, হাতেকলমে কর্মশালা নয়, প্রাক্তনীদের পক্ষ থেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সমস্ত শিশুদের মনোরঞ্জনের জন্য খেলনা এবং সুষম খাবার দেওয়া হবে। উৎসবের শেষ দিন থাকছে প্রাক্তনীদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। 


প্রসঙ্গত, ১৮৭৪ খ্রিস্টাব্দে শিয়ালদহ মিউনিসিপাল মার্কেট হাসপাতালকে ক্যাম্পবেল মেডিকেল স্কুলে রূপান্তরিত করা হয়। পরবর্তী সময়ে ১৯৪৮-এ  এটি ক্যাম্পবেল মেডিক্যাল স্কুল ও কলেজে উন্নিত হয় এবং স্বাধীনতার পর ১৯৫০এ হাসপাতালটিকে বাংলা তথা ভারতের গর্ব অন্যতম বিশিষ্ট চিকিৎসক ও কলেজের প্রাক্তন কৃতী ছাত্র স্যার নীলরতন সরকারের নামে করা  হয়। সেদিন যে চারাগাছটি রোপিত হয়েছিল দেড়শ বছরের দীর্ঘ পথ পেরিয়ে আজ সেটি দেশের অন্যতম প্রধান মেডিক্যাল কলেজ হিসাবে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল স্কুল ও কলেজ-এর মতো মহীরূহে পরিণত হয়েছে। ২০২৩-এ  প্রতিষ্ঠানের সার্ধশত বার্ষিকী উদযাপন। সাংবাদিন বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডাঃ কালীপদ গুহ, ডাঃ সুজয় ঘোষ, ডাঃ অমিত দাস, ডাঃ সৌরভ দত্ত, ডাঃ পারভিন বানু প্রমুখ। 


ডাঃ গুমটা জানিয়েছেন, বর্তমানে এনআরএস মেডিক্যাল কলেজের প্রায় সাঁইত্রিশটি বিভাগে এমবিবিএসে ২৫০ জন ও এমডি এবং এমএসে প্রায় ১২২ জন ছাত্র পড়াশোনা করতে পারেন। ডিএম এবং এমসিএইচ কোর্সে আসন রয়েছে যথাক্রমে ১৬ ও ১৫টি। ১৯২০ শয্যার এই হাসপাতালে শুধু বর্হি বিভাগেই প্রতিদিন গড়ে প্রায় চার হাজার সাতশ মানুষ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পরিষেবা নিতে আসেন।  তিনি আরও জানিয়েছেন, তিনদিনের এই অনুষ্ঠান আক্ষরিক অর্থে মিলনোৎসব হলেও, আসলে চিকিৎসা বিজ্ঞানের আরও উন্নতির বিষয়টি গুরুত্ব পাবে।

 

Comments :0

Login to leave a comment