জনগণনার সঙ্গে হবে জাতভিত্তিক সমীক্ষাও। নির্ধারিত সূচির পাঁচ বছর পর শুরু হচ্ছে জনগণনা। ‘জনগণনা-২০২৭’-র প্রক্রিয়া ২০২৭’র ১ মার্চ থেকে কার্যকর হবে।
ভারতে প্রতি দশ বছর অন্তর জনগণনা হয়। ২০১১-তে শেষ জনগণনার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির উল্লেখ করে ২০২১‘র জনগণনা প্রক্রিয়া পিছিয়ে দিতে থাকে কেন্দ্র। বুধবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে ২০২৬’র ১ এপ্রিল থেকে জনগণনার কাজ শুরু হবে।
মহিলাদের আসন সংরক্ষণ আইন পাশ হলেও তার প্রয়োগ জনগণনার ওপর নির্ভর করছে। বহু প্রকল্পে উপভোক্তা চিহ্নিত করণের ক্ষেত্রেও সমস্যা হচ্ছে জনগণনা আটকে থাকার কারণে।
জনগণনার পাশাপাশি জাতভিত্তিক সমীক্ষার দাবিও তুলেছে বিরোধী বিভিন্ন দল। সিপিআই(এম) এবং বামপন্থীরা লাগাতার জনগণনা এবং জাতের নিরিখে জনসংখ্যা কোন ক্ষেত্রে কত তা নির্দিষ্ট করার দাবি তুলেছে বারবার।
কেন্দ্র জানিয়েছে জনগণনা দু’ধাপে হবে। ১৯৪৮’র জনগণনা আইন এবং ১৯৯০’র জনগণনা বিধিতে হবে কাজ।
লাদাখ, জম্মু ও কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ডে জনগণনার কাজ শুরু হবে আগে। প্রথম ধাপে, ২০২৬’র ১ অক্টোবর থেকে এই এলাকাগুলিতে শুরু হবে কাজ। দ্বিতীয় ধাপে অন্য অঞ্চলের জন্য কাজ হবে ২০২৭’র ১ মার্চ থেকে।
গত ৩০ এপ্রিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জাতভিত্তিক গণনার কাজও জনগণনার সঙ্গে করানোর সিদ্ধান্ত হয়েছিল। উল্লেখ্য, বিহার বা তেলেঙ্গানার মতো রাজ্য জাতভিত্তিক সমীক্ষা করেছে।
Census-2027
জনগণনা আরও দু’বছর পর, শেষ তথ্য ২০১১’র

×
Comments :0