CBSE RESULT

সিবিএসই’র দশম-দ্বাদশে সাফল্যে মেয়েরা আগে, কমল উত্তীর্ণের হার

জাতীয়

CBSE RESULT


সিবিএসই’র দশম ও দ্বাদশের পরীক্ষায় উত্তীর্ণের হারে মেয়েরা পিছনে ফেলল ছেলেদের। তবে দুই পরীক্ষাতেই উত্তীর্ণের হার গত বছরের তুলনায় কমেছে। সেই সঙ্গেই কমে গিয়েছে ৯০ ও ৯৫ শতাংশের বেশি নম্বর প্রাপক পরীক্ষার্থীদের সংখ্যাও। কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে স্নাতক স্তরে ভর্তির সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষা কুয়েট, ডাক্তারিতে ভর্তির সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষা নিট এবং আইআইটি সহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলিতে ভর্তির প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রস্তুতিতে অতিরিক্ত মনোযোগ দেওয়ার কারণেই সিবিএসই’র দ্বাদশের পরীক্ষায় উত্তীর্ণের হার এবং ৯০ শতাংশের উপর নম্বর প্রাপকের সংখ্যা কমে গিয়েছে বলে মতামত উঠে এসেছে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের পরিচালন কর্তৃপক্ষের দিক থেকে। তবে সিবিএসই তা মানতে রাজি হয়নি। সংস্থার আধিকারিকদের বক্তব্য, গত বছর করোনার কারণে পরীক্ষা হয়েছিল ‍‌শিক্ষাবর্ষকে দুই ভাগে ভেঙে দুই ধাপে। এবার সেখানে একবারেই পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে সারা বছরের পড়াশোনার ভিত্তিতে। তাই এবারের ফলাফলের তুলনা করা যেতে পারে করোনা-পূর্ববর্তী ২০১৯ সালের ফলাফলের সঙ্গে। ওই বছরের থেকে এবারের ফল ভাল হয়েছে। আধিকারিকরা আরও জানিয়েছেন, ছাত্রছাত্রীদের অনাবশ্যক প্রতিযোগিতা থেকে মুক্ত রাখার জন্য এই বছর দুই পরীক্ষাতেই কোনও মেধা তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে না। আগামী দিনেও হবে না। 


শুক্রবার এই দুই পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, দশম শ্রেণীর পরীক্ষায় উত্তীর্ণের হার মেয়েদের মধ্যে ৯৪.২৫ শতাংশ, ছেলেদের মধ্যে ৯২.২৭ শতাংশ এবং রূপান্তরকামীদের মধ্যে ৯০ শতাংশ। দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় এই হার যথাক্রমে ৯০.৬৮, ৮৪.৬৭ ও ৬০ শতাংশ। সব মিলিয়ে এবার দশমে উত্তীর্ণের হার ৯৩.১২ শতাংশ, যা গত বছরের তুলনায় ১.২৮ শতাংশ কম। ২০১৯-এ এই হার ছিল ৯১.১০ শতাংশ। পাশাপাশি এই বছরে দ্বাদশের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে ৮৭.৩৩ শতাংশ ছাত্রছাত্রী, যেখানে গত বছর উত্তীর্ণ হয়েছিল ৯২.৭১ শতাংশ ছাত্রছাত্রী। ২০১৯ সালে এই হার ছিল ৮৩.৪০ শতাংশ। সিবিএসই আরও জানিয়েছে, এই বছরে দশম ও দ্বাদশের পরীক্ষা মিলিয়ে ৯০ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়েছে ৩ লক্ষ ৮ হাজারের বেশি ছাত্রছাত্রী এবং ৯৫ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়েছে ৬৬ হাজারের বেশি ছাত্রছাত্রী। গত বছর এই সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৩ লক্ষ ৭১ হাজার এবং ৯৮ হাজার ৩৪০। এদের মধ্যে রয়েছে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ছাত্রছাত্রীরাও। তাদের সংখ্যা ৯০ শতাংশের বেশি নম্বর প্রাপকদের ক্ষেত্রে দশমে ২৭৮ ও দ্বাদশে ২৭১ এবং ৯৫ শতাংশের বেশি নম্বর প্রাপকদের ক্ষেত্রে দশমে ৫৮ ও দ্বাদশে ৪৪। সব মিলিয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল দশমে ২১ লক্ষ ৬৫ হাজার ৮০৫ এবং দ্বাদশে ১৬ লক্ষ ৬০ হাজারের বে‍‌শি। পরিসংখ্যানে আরও দেখা যাচ্ছে, দুই পরীক্ষা মিলিয়ে সাফল্যের শীর্ষে রয়েছে কেরালার তিরুবনন্তপুরম রিজিয়ন বা অঞ্চল, উত্তীর্ণের হার ৯৯.৯১ শতাংশ। আর সাফল্যের খতিয়ানে সবার পিছনে রয়েছে বিজেপি-শাসিত উত্তর প্রদেশের এলাহাবাদ রিজিয়ন বা অঞ্চল, উত্তীর্ণের হার ৭৮.০৫ শতাংশ।


এবার যেহেতু মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়নি, তাই দশম ও দ্বাদশে কোন রাজ্য থেকে কে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছে, তা রাত পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকটি স্কুলের ফল ভালো হয়েছে বলে স্কুলগুলি থেকে জানা গিয়েছে। এবার সাউথ পয়েন্ট স্কুলের সার্বিক ফল খুবই ভালো। সাউথ পয়েন্ট স্কুলের সৌমাদিত্য চন্দ্র বিজ্ঞান বিভাগে ৯৮.২ শতাংশ নম্বর পেয়ে স্কুলে প্রথম হয়েছে। সাউথ পয়েন্টের বাণিজ্য শাখার কুন্দন হিরাওয়াত পেয়েছে ৯৭.৬ শতাংশ। কলা বিভাগে অনীশা ভট্টাচার্য ৯৮ শতাংশ নম্বর পেয়েছে। সাউথ পয়েন্টের কৃত্তিকা গুহ পেয়েছে ৯৯ শতাংশ নম্বর। এই স্কুলের ৯৫ শতাংশের উপরে নম্বর পেয়েছে ১১৯ জন। অন্যদিকে ডিপিএস রুবি পার্কের ইপ্সা রায় পেয়েছে ৯৯ শতাংশ নম্বর। জিডি গোয়েঙ্কা পাবলিক স্কুল, দক্ষিণেশ্বরের সোমশ্রী চট্টোপাধ্যায় পেয়েছে ৯৯ শতাংশ নম্বর। মহাদেবী বিড়লা ওয়ার্ল্ড অ্যাকাডেমির অনন্যা আগরওয়াল পেয়েছে ৯৮.৬০ শতাংশ নম্বর।

Comments :0

Login to leave a comment