SC NAGPUR LAKE FUTALA

‘ভাসমান’, ‘অস্থায়ী’ দেখিয়ে নির্মাণ, সুপ্রিম কোর্টের নজরে নাগপুরের হ্রদ

জাতীয়

ফুতালা হ্রদের মাঝে বাজনার তালে নেচে ওঠা ফোয়ারা।

হ্রদের আয়তন বিশাল, প্রায় ৬০ একর। প্রায় তিনশো বছরের পুরনো। ‘ভাসমান’ দেখিয়ে সেখানেই চলছে নির্মাণ। মহারাষ্ট্র সরকারের তাগাদায় নির্মাণে বৈধতাও দিয়েছিল বম্বে হাইকোর্টে। পালটা আবেদনের শুনানিতে আপাতত সবরকমের নির্মাণ বন্ধ করতে বলল সুপ্রিম কোর্ট। 
নাগপুরের ফুতালা জলাশয় সংরক্ষণ মামলা আগ্রহ বাড়িয়েছে পরিবেশকর্মীদের।  
শুনানিতে বরিষ্ঠ আইনজীবী গোপাল শঙ্করনারায়ণ প্রশ্ন তুলেছেন বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চের রায়ে। তাঁর সওয়াল, ‘‘প্রাকৃতিক নয় বলে তিনশো বছরের পুরনো বিশাল জলাশয়ে নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হবে? খনন করা হলে সেই জলাশয়ের সংরক্ষণ হবে না?’’ 
সুপ্রিম কোর্টই ২০১৭’র একটি রায়ে ২.২৫ হেক্টর ক্ষেত্রফলের চেয়ে বেশি ২ লক্ষ জলাশয় রক্ষার নির্দেশ দিয়েছিল। শঙ্করনারায়ণ বলেছেন, ‘‘সংরক্ষিত রামসার জলাশয় হিসেবে ৭৫টি বড় জলাভূমিকে চিহ্নিত করা রয়েছে দেশে। তার মধ্যে ৩৩টি কৃত্রিম, কোনও না কোনও সময় তৈরি করা হয়েছিল। এখানে মহারাষ্ট্রের জলাশয় সংরক্ষণ অথরিটি হাইকোর্টে সওয়াল করল ফাতুলা আইনি দিক থেকে সংরক্ষিত নয়। হাইকোর্টও মনে করল প্রাকৃতিক নয়, তাকে জলাভূমি বলা চলে না!’’
পরিবেশকর্মী এবং সংরক্ষণের পক্ষে থাকা অংশ শীর্ষ আদালতে সওয়ালে বলেছে, মানুষের তৈরি ফুতালা হ্রদ আজকে জৈববৈচিত্রকে বাঁচিয়ে রেখেছে। জলজ জীবন বাঁচিয়ে রেখেছে। সেখানে ‘অস্থায়ী’ ঘোষণা করে এর মধ্যেই ৭ হাজার টন কংক্রিট ফেলা হয়েছে। বলা হচ্ছে, ভাসমান রেস্তোরাঁ হবে, ভাসমান আর্ট গ্যালারি হবে। সব নির্মাণকে অস্থায়ী এবং ভাসমান বলা হচ্ছে।’’ 
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ আপাতত স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছে। জলাভূমি সংরক্ষণ অথরিটিকে নির্দেশ দিয়েছে হ্রদের আশেপাশে সব কাঠামো সম্পর্কে বিশদে জানাতে।  
পরিবেশকর্মীদের ক্ষোভ, ভাসমান এবং অস্থায়ী দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে ব্যবসায়িক লাভের জন্য। এরাই জলাশয়ের বাস্তুতন্ত্র বা জৈববৈচিত্র উপেক্ষা করছে।

Comments :0

Login to leave a comment