‘দুই গ্যালারির এক স্বর, জাস্টিস ফর আর জি কর।’
বাতিল হয়েছে বড় ম্যাচ। বাতিল হয়েছে আর জি কর কাণ্ডে প্রতিবাদেরই ভয়ে। কিন্তু প্রতিবাদ সম্ভবত এড়ানো যাবে না। ম্যাচ বাতিল হলেও মাঠে যাবেন সমর্থকরা। নিহত নির্যাতিতা চিকিৎসক-ছাত্রীর হয়ে বিচার চাইতে।
রবিবার ডার্বি হওয়ার কথা থাকলেও তা বাতিল হয়ে গেছে। শনিবার বেলার দিকে ডুরান্ড কমিটি জানিয়ে দেয় যে পরবর্তী আর কোনো ম্যাচই হবে না কলকাতায়। ইষ্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগানের পরবর্তী সব ম্যাচ সরে যাচ্ছে জামশেদপুরে।
শনিবার বাতিল হয়ে যায় যুবভারতীতে ম্যাচের আগে নির্ধারিত সাংবাদিক সম্মেলনও। টিকিট পার্টনার জানিয়ে দেয় যে অনলাইন এবং অফলাইনে কটা সব টিকিটের দাম ফিরিয়ে দেওয়া হবে। ডুরান্ড কমিটি ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগানকে ১ পয়েন্ট করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এখনও স্পষ্ট নয় ৩১ আগস্ট যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ফাইনাল হবে কিনা। দু’দলেরই এখন পয়েন্ট ৬। তবে গোল পার্থক্যে এগিয়ে আছে মোহনবাগান।
এর পরই দু’দলের ‘ফ্যান ক্লাব’ জানায় মাঠে যাওয়া হবে। এমনকি ছড়িয়ে যায় পোস্টার। লেখা, ‘সরকার মাঠ আটকালে আমরা রাস্তা আটকাবো।’ দু’দলের সমর্থকরা একযোগে জানাতে থাকেন মাঠে যাবেন। আর জি করে নিহত চিকিৎসকের জন্য বিচার চাইবেন। তাঁরা বলেন, প্রতিবাদ আটকাতে ম্যাচ বাতিল করিয়েছে সরকার। এই স্বৈরাচারী মনোভাব মানবেন না।
রবিবার বিকেল চারটে নাগাদ যুবভারতীর ভিআইপি গেটের সামনে মোহনবাগানের ম্যারিনার্স বেস ক্যাম্প ফ্যানস ক্লাব একটি প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দিয়েছে। এছাড়াও , ইস্টবেঙ্গলেরও একটি ‘ফ্যানস ক্লাব’ রবিবার যুবভারতীর সামনেই প্রতিবাদ মিছিলে অংশগ্রহণ করবে। মাঠের প্রতিদ্বন্দ্বিতা ভুলে দুই রাইভাল ক্লাবের সমর্থকদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাস্তায় নেমে এই লড়াই বিচারের দাবিতে।
Comments :0