Hawkers Arrested in Jalpaiguri

মেলেনি জামিন, পুজোর আগে লকআপেই জলপাইগুড়ির ৩ হকার

জেলা

এভাবেই তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে হকারদের।

রাতভর থানায় বসিয়ে রাখার পর আদালত থেকেও মিললো না জামিন। শারদ উৎসবের আগে ব্যবসা বাণিজ্য লাটে তুলে লকআপেই রাত কাটাতে হবে ফুটপাত ব্যবসায়ী তিন হকারকে। 
শুক্রবার পুলিশি অভিযানের ঘটনার পর ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে সন্ধ্যায় জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় গিয়ে কথা বলার পর তিনজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। 
ফুটপাত ব্যবসায়ী ১৯ বছর বয়সী আরও এক যুবককে রাত দশটা নাগাদ মার্চেন্ট রোড এলাকা আটক করা হয়। শনিবার দুটো নাগাদ জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে নিয়ে আসা হয় পুলিশি অভিযানে আটক ফুটপাত ব্যবসায়ী হকারদের। জেলা আদালতের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের মামলাটি পেশ করা হলে আটক হকারদের পক্ষে জামিনের আবেদন করা হয়। তবে জামিন মেলেনি।
হকারদের পক্ষে আইনজীবীরা বলেন, পুজোর আগে সামান্য জিনিসপত্র নিয়ে দিনবাজারে ব্যবসা করছিলেন। পুলিশি অভিযানের নামে তারদের ওপর বাড়াবাড়ি হয়েছে। বিনা কারণে জামিন অযোগ্য ধারায় মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে আটক রাখতে চাইছে পুলিশ। 
ধৃতদের একজন হৃদরোগী। পক্ষাঘাতে তাঁর একটি হাতে তিনি জোর পান না। বিচারক বলেন, সোমবার পুলিশ চার্জশিট না দেওয়া পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া কঠিন। 
শুক্রবার দুপুরে মার্চেন্ট রোড দিনবাজারে হঠাৎ পুলিশি অভিযান হয়। হকাররা অবরোধ করেন। পুলিশ লাঠি চার্জ করে হকারদের তুলে নিয়ে যায়। আতঙ্কিত পথ ব্যবসায়ীরা শনিবার সকাল থেকে দিনবাজার এলাকায় রাস্তার পাশে বসেননি বললেই চলে।  পুলিশ ফলের ভ্যান নিয়ে এদিক-ওদিক ঘুরে বেড়ানো ফল বিক্রেতাদের কুড়িটি ভ্যানকে আটক করেছে। কিছুক্ষণ পরে সেগুলি ছেড়ে দেওয়া হয়।
স্ট্রিট ভেন্ডার্স হকার ইউনিয়নের জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক নীলাঞ্জন নিয়োগী অভিযোগ করেন পৌরসভায় জলপাইগুড়ি শহরের যানজট সমস্যা নিরসন ও হকারদের পুনর্বাসনের বিষয় বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল। সেখানে জেলা প্রশাসনের উপস্থিতিতে হকার্স ইউনিয়নের নেতৃত্বকে পৌর কর্তৃপক্ষ জানান হকারদের দ্রুত চিহ্নিত করে  পরিচয়পত্র প্রদান, টাউন ভেন্ডিং কমিটির মাধ্যমে আলোচনা সাপেক্ষে হকারদের সমস্যার সমাধান, পার্কিং জোন ঘোষণা করা দ্রুত হকার কর্নার গঠনের জন্য আলোচনা শুরু করা হবে। পৌরসভা নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও সিদ্ধান্তগুলির মধ্যে একটিও কার্যকরী হয়নি। 
তিনি বলেন, শারদ উৎসবের আগে সামান্য জামা কাপড়ের দোকান দিয়ে বসা, ফুটপাত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে পুলিশ অভিযানে নামল। জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হলো। উৎসবের আগে জেলে পাঠানোর ব্যবস্থা করল। এটা মেনে নেওয়া যায় না। হকারদের পুনর্বাসনের দাবিতে লড়াই আরো জোরদার হবে।

Comments :0

Login to leave a comment