জেলা পরিষদে যুবদের ডেপুটেশন আটকাতে লাঠি চালালো পুলিশ। সোমবার চুঁচুড়ায় ব্যারিকেড করে পুলিশ। ডিওয়াইএফআই কর্মীরা ব্যারিকেড ভেঙে এগতেই লাঠি চালায়। আহত হয়েছেন একাধিক যুবকর্মী। কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শিক্ষা দুর্নীতিতে ধৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু ব্যানার্জি হুগলী জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ। এই পদ থেকে ধৃত তৃণমূল নেতাকে বরখাস্ত করার দাবিতে এদিন এই ডেপুটেশন দিতে যায় ডিওয়াইএফআই। জেলা পরিষদে ঘেরাওয়ের লক্ষ্যও জানায় এই যুব সংগঠন।
চুঁচুড়া ঘড়ির মোড় থেকে ডিওয়াইএফআই’র মিছিল জেলা পরিষদের দিকে এগোতে থাকে। বাধা দেয় পুলিশ। প্রতিবাদ করেন যুব কর্মীরা। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এরপরই লাঠিচার্জ শুরু করে চুঁচুড়া থানার পুলিশ।
শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডি গ্রেপ্তার করে হুগলী জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু ব্যানার্জী। এর আগে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ইডি গ্রেপ্তার করেছে যুব তৃণমূলের আরেক নেতা কুন্তল ঘোষকে। তারপরই নাম জড়ায় শান্তনু ব্যানার্জির। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে বিদ্যালয়ের চাকরি খুইয়েছেন হুগলি জেলা পরিষদের সদস্য টুম্পা মেটেও।
শান্তনু ব্যানার্জি গ্রেপ্তার হতেই তাঁর বিপুল সম্পত্তির হদিস মিলেছে। হোটেল থেকে দামি রেস্টুরেন্ট, ধাবা গেস্ট হাউস থেকে বাগান বাড়ি, সবই করে ফেলেছেন অল্প সময়ের মধ্যে। তদন্তে শিক্ষা দুর্নীতির ভয়াবহ চেহারা বেরিয়েছে। স্কুলে নিয়োগের জন্য টাকা তুলেছে তৃণমূলের বিভিন্ন স্তরের নেতারা। ওএমআর শিটের উত্তরের সঙ্গে প্রাপ্ত নম্বরের গরমিল ফাঁস হয়ে গিয়েছে। এই দুর্নীতিতে জেলে প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি সহ শীর্ষ স্তরের কর্মকর্তারা। স্কুল সার্ভিস কমিশন থেকে শিক্ষা দপ্তর, মারাত্মক দুর্নীতিতে জড়িয়ে গিয়েছে সব স্তর। বামপন্থীরা বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রীর মদত ছাড়া বছরের পর বছর এমন দুর্নীতি হতে পারে না।
ডিওয়াইএফআই’র জেলা সভাপতি সুমন মাল বলেন, শান্তনু ব্যানার্জি ইডি’র হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে। শিক্ষা দুর্নীতিতে যুক্ত তিনি। তাঁকে জেলা পরিষদ থেকে বরখাস্ত করতে হবে। সেই দাবিতে জেলা পরিষদে আমরা সংগঠনের তরফে ডেপুটেশন দিতে যাচ্ছিলাম। পুলিশ আমাদের কর্মীদের বাধা দেয়, লাঠিচার্জ করে। ঘটনায় আমাদের বেশ কিছু কর্মী আহত হয়েছে। তাঁদের চুঁচুড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ডিওয়াইএফআই জানিয়েছে যে সংগঠনের বেশ কয়েকজন কর্মীকে আটকে করেছে পুলিশ। নেতৃবৃন্দ বলেছেন, তাঁদের না ছাড়লে আমরা কেউ এখান থেকে যাবো না। শান্তনু ব্যানার্জীকে জেলা পরিষদের পদ থেকে বরখাস্ত না করলে আগামী দিনে ডিওয়াইএফআই আরও বড় আন্দোলন করবে বলে জানান যুব নেতৃবৃন্দ।
Comments :0