এগরা কান্ডে মূল অভিযুক্ত ভানু বাগকে গ্রেপ্তার করল সিআইডি। ওড়িশা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ভানু বাগকে। মঙ্গলবার দুপুরে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় এক তৃণমূল নেতার বোমা তৈরির কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে প্রাণ হারান অন্তত ১০জন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১৪জন। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে দগ্ধ দেহ দূরে দূরে ছিটকে পড়ে।
পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা ১ নম্বর ব্লকের সাহারা গ্রাম পঞ্চায়েতের খাদিকুল গ্রামের তৃণমূল নেতা কৃষ্ণপদ বাগ যিনি ভানু বাগ নামেই কুখ্যাত, তাঁরই বোমা কারখানায় এই ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে।
বিস্ফোরণের পরেই একটি গাড়িতে করে ভানু বাগকে কয়েকজন তুলে নিয়ে চলে যায়, তাঁকে ওডিশার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় খবর স্থানীয় সূত্রে।
বিভিন্ন সূত্র মারফত খবর পেয়ে ওড়িশার কটকের একটি হাসপাতালে হানা দেয় পুলিশ।
ওই হাসাপাতালেই ভানু বাগ, তাঁর ছেলে ও ভাইপো চিকিৎসাধীন ছিলেন বলে সূত্রের খবর। এঁরা প্রত্যেকেই বিস্ফোরণের জেরে আহত হয়েছেন। কটকের ওই হাসপাতাল থেকেই ভানু বাগ, তাঁর ছেলে ও ভাইপোকে এদিন গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সিআইডির দাবি, বিস্ফোরণের ফলে গুরুতর জখম হয়েছেন ভানু বাগ, তাঁর ছেলে ও ভাইপো। আপাতত কটক হাসপাতালেই রাখা হবে ভানু বাগকে।
মঙ্গলবার এগরার খাদিকুলে বাজি কারখানায় নিহত হন দশ জন। বাজির আড়ালে বোমা তৈরির অভিযোগ গ্রামবাসীদের।
ভানু এলাকায় পরিচিত তৃণমূল নেতা। গত পঞ্চায়েতে তাঁর পুত্রবধূ দলের প্রার্থী ছিলেন। এর আগে পুলিশ ভানুকে ধরলেও ছাড়া পেয়েছে। ভানুর কারখানায় তিনবার বিস্ফোরণ হয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের। তার এক ভাইও মারা গিয়েছিল, বলছেন তাঁরাই।
কিন্তু পুলিশ কিছু করেনি। এবারের ঘটনাতেও বিস্ফোরক আইনে অভিযোগ দায়ের করেনি পুলিশ। করেছে, তুলনায় হালকা, অগ্নিকাণ্ড বিষয়ক আইনে। ফলে গ্রেপ্তারি হলেও, কতদিন, প্রশ্ন থাকছে।
Comments :0