খরিফ বিপণন মরশুমে ধানের সংগ্রহ ৯ শতাংশ বেড়েছে। কেন্দ্রীয় ভাণ্ডারে সংগ্রহের এই তথ্য দিয়েছে কেন্দ্রীয় খাদ্য মন্ত্রক। খরিফ বিপণন মরশুম চলে অক্টোবর থেকে পরের বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
খাদ্য মন্ত্রক জানিয়েছে নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত ৩০৬.০৬ লক্ষ টন সংগ্রহ করা হয়েছে কেন্দ্রীয় ভাণ্ডারে। গত মরশুমে এই সময় পর্যন্ত সংগ্রহের তুলনায় তা ৯ শতাংশ বেশি। তবে খরিফ মরশুমে সংগ্রহের মোট লক্ষ্য ৭৭৫.৭২ লক্ষ টন। আগের মরশুমে মোট সংগ্রহ ছিল ৭৫৯.৩২ লক্ষ টন।
কেন্দ্রীয় খাদ্য ভাণ্ডারে ধান সংগ্রহ করে ফুড কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া এবং বিভিন্ন বেসরকারি এজেন্সি। সরকার ঘোষিত ন্যূনতম সংগ্রহ মূল্য দিয়ে কৃষকদের থেকে শস্য কেনার কথা। তবে প্রকৃত কৃষকরা ন্যূনতম সংগ্রহ মূল্য পান না, কৃষক আন্দোলনের পক্ষে এই বাস্তবতা বিভিন্ন সময়েই তুলে ধরা হয়েছে। ন্যূনতম দামে শস্য সংগ্রহের আইন পাশ করার দাবিতে নতুন পর্যায়ে আন্দোলনেও নেমেছে সংযুক্ত কিষান মোর্চা।
খাদ্য মন্ত্রক বলেছে, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর প্রভাব ক্ষীণ হয়ে যাওয়ার পর খরিফ মরশুমের সংগ্রহ শুরু হয়। গ্রীষ্মে চাষ হয় এই ধানের।
কেন্দ্রীয় খাদ্য ভাণ্ডারে মোট সংগ্রহের ৮০ শতাংশ মেলে খরিফ বিপণন মরশুম থেকে। কৃষি মন্ত্রকের অনুমান, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ধানের উৎপাদন ৬ শতাংশ কম হবে। ধান চাষের জমি কমেছে। কেন্দ্রের বক্তব্য, বৃষ্টিপাত কম হওয়ার দরুন এই ঘাটতি। তবে সারা ভারত কৃষকসভার মতো কৃষক সংগঠনগুলি দায়ী করেছে সারের চড়া দাম, পর্যাপ্ত ঋণ না মেলা এবং ফসল সঙ্গত দামে বিক্রির প্রয়োজনীয় সুযোগ না থাকার মতো বিষয়গুলিকে।
Comments :0