Kisan Sabha Conference

জাতের ভাগ, নারীবিদ্বেষও থমকেছিল কৃষকের লড়াইয়ে

জাতীয়

সর্ববভারতীয় কৃষক সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন পশ্চিমবঙ্গের প্রতিনিধি পরেশ পাল।

প্রসূন ভট্টাচার্য

বছরভর কৃষক আন্দোলন ধাক্কা দিয়েছিল জাত ভাগাভাগির দেওয়ালে। অন্দরমহল থেকে বেরিয়ে মহিলারা নেমেছিলেন রাস্তায়। নতুন পর্বে লড়াই শুরু করার মুখে সেই অভিজ্ঞতা মনে রাখছেন কৃষক নেতারা। 

সারা ভারত কিষান সভার ৩৫ তম সম্মেলনে, বুধবার, ত্রিশূরে চলছে প্রতিনিধিদের আলোচনা। পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ এবং রাজস্থানের মতো উত্তর ভারতের রাজ্যগুলির প্রতিনিধিরা নতুন দফায় লড়াইয়ের প্রস্তুতি জানিয়েছেন। 

২৪ ডিসেম্বর দিল্লিতে বৈঠক করবে সংযুক্ত কিষান মোর্চা। কৃষকসভার সঙ্গে শতাধিক সংগঠন এই মঞ্চের সদস্য। এই মঞ্চই দিল্লি ঘিরে বসে থাকা কৃষক আন্দোলন পরিচালনা করেছে এক বছরের বেশি সময় ধরে। ২৬ জানুয়ারি ফের দিল্লির দিকে রওনা হওয়ার প্রস্তুতি চলছে। ফের গড়াবে ট্রাক্টরের চাকা। কারণ আগেরবার কেন্দ্রের সরকার যে কথা দিয়েছিল তা পালন করা হচ্ছে না। হয়নি ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে ফসল কেনার এমএসপি আইন। 

কৃষকসভা ফসলের দামের পাশাপাশি সামজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলনের শরিক। হিন্দি বলয়ের প্রতিনিধিরা জানাচ্ছেন, আন্দোলনের সময় বারবার দেখা গিয়েছে সামাজিক বিভাজনের বেড়া ডিঙিয়ে দলিতদের লড়াইয়ে স্বাগত জানিয়েছে উচু জাতের কৃষিজীবীরা। 

প্রতিনিধিরা বলছেন, সামাজিক বৈষম্যের মারাত্মক শিকার নারীরাও। বহু আন্দোলনও হয়েছে। কৃষক আন্দোলনের দিনগুলিতে দেখা গিয়েছে নারীরা ঘরের বাইরে বেরিয়ে আসছেন। নিজেরা অবস্থানে অংশ নিয়েছেন, রান্না করেছেন। আবার স্লোগান তুলেছেন নিজেরা। এই জেদ, এগিয়ে এসে লড়াইয়ের মানসিকতাকে বাধা দেওয়ার সাহস দেখায়নি কেউ। 

উত্তর প্রদেশের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন যে বনাঞ্চল থেকে আদিবাসীদের উচ্ছেদ করা হচ্ছে। ঝাড়খণ্ডের প্রতিনিধির আলোচনাতেও এসেছে এই সমস্যা। রাজস্থানের প্রতিনিধি বলেছেন, অস্পৃশ্যতা এত গভীর যে দলিতদের ওপর শারীরিক আক্রমণ হচ্ছে। কখনও পিটিয়ে হত্যা করা হচ্ছে। কৃষক আন্দোলন অন্য অংশগুলিকে নিয়ে সামাজিক নিপীড়নের বিরুদ্ধেও সরব হচ্ছে। 

আলোচনায় এদিন অংশ নিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের প্রতিনিধিও। 

(ছবি: দিলীপ সেন)

Comments :0

Login to leave a comment