মুম্বাইয়ের দিকে হেঁটে যাচ্ছে কৃষকদের বিশাল মিছিল। মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন জেলা থেকে কৃষকরা এসে জমা হন নাসিকের দিন্দোরিতে। সেখান থেকে মিছিল শুরু হয়ে বুধবার তিনদিনে পড়ল কৃষক অভিযান।
সারা ভারত কৃষক সভার ডাকে কৃষকদের এই মিছিলে শুধু কৃষকরাই নন, পা মিলিয়েছেন আশাকর্মী থেকে বিভিন্ন অসংগঠিত শ্রমিকরা। হাঁটছেন আদিবাসী আন্দোলনের কর্মীরাও। সুবিশাল সেই মিছিলের ছবি ধরা পড়েছে ড্রোন ক্যামেরাতেও।
মহারাষ্ট্র সরকারে কাছে একগুচ্ছ দাবি রেখেই কৃষকরা এগিয়ে চলেছেন সে রাজ্যের রাজধানীর উদ্দেশ্যে। চলতি বছরে পেয়াঁজ চাষে ব্যাপক ক্ষতির মুখ দেখেছেন কৃষকরা। হঠাৎই বাজারে পেঁয়াজের দাম কমে যাওয়ায় আর্থিক সঙ্কটের মুখে পড়েছেন তাঁরা।
মহারাষ্ট্র সরকারের কাছে পেঁয়াজ চাষীরা দাবি করেন কুইন্টাল প্রতি যেন তাঁদের ৬০০ টাকা করে আর্থিক সহায্য করা হয়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে জানিয়েছেন কুইন্টাল প্রতি মাত্র ৩০০ টাকা দিতে পারবে সরকার। তাতেই আরও ক্ষোভের আগুন বেড়েছে।
কৃষকদের দাবি, ১২ ঘন্টা অবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের জোগান দিতে হবে। কৃষি ঋণ মকুব করতে হবে। সেই সঙ্গে সোয়াবিন, তুর ডাল ও তুলার ফলন যথেষ্ট ভালো হয়েছে চলতি বছরে। কৃষকদের লাভ হয় এমন সংগ্রহমূল্য ঠিক করার দাবিও তুলেছে মিছিল। পুরনো পেনশন প্রকল্প ফিরিয়ে আনার দাবিতে কৃষকদের সঙ্গেই মিছিলে হাঁটছেন বহু সরকারি কর্মী, বিশেষ করে যাঁরা ২০০৫ সালের পর চাকরিতে যোগ দিয়েছেন। আশা কর্মীরা পেনশন ও মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে সরব এই মিছিলেই।
ইতিমধ্যে মহারাষ্ট্র সরকার কৃষকদের সঙ্গে বৈঠক করবে বলেও তা করেনি। তা নিয়ে আরও ক্ষোভ বেড়েছে কৃষক মহলে। পাল্টা বিরোধী নেতা অজিত পাওয়ার ও সিপিআই(এম) বিধায়ক বিনোদ নিকোলে মহারাষ্ট্র সরকারকে অবিলম্বে কৃষি সমস্যা মেটাতে বৈঠকে বসা উচিৎ বলে দাবি করেছেন।
Comments :0