বিভাজনে হাসিল গুজরাট, অন্য দু’রাজ্যেে ধাক্কা ‘মোদী ফ্যাক্টর’-এ: ব্যাখ্যা সিপিআই(এম)’র
পরপর দু’দিন তিনটি নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়েছে। তার মধ্যে বিজেপি জয়ী হয়েছে গুজরাটে। কিন্তু দিল্লি কর্পোরেশন এবং হিমাচল প্রদেশ বিধানসভার ভোটে বিজেপি হেরেছে।
বৃহস্পতিবার বিবৃতিতে এই বাস্তবতা মনে করিয়েছে সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো। পার্টির বক্তব্য, এই দুই ফলাফলে ‘মোদী ফ্যাক্টর’ নিয়ে তুমুল প্রচার ধাক্কা খেয়েছে।
গুজরাট প্রসঙ্গে পার্টির বক্তব্য, পরপর সাতবার এ রাজ্যে জয়ী হলো বিজেপি। গভীর সাম্প্রদায়িক বিভাজনের কারণেই তা সম্ভব হয়েছে। হিন্দু পরিচয়কে সর্বব্যাপী প্রসারের ভাষ্যের সঙ্গে গুজরাটি গরিমার প্রচার হয়েছে। বেশি গুরুত্বপূর্ণ মূল্যবৃদ্ধি, বেকারি, সরকারি শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর করুণ দশার মতো বিষয়গুলিকে এই কৌশলে আড়াল করা হয়েছে।
গুজরাটে বিজেপি’র ভোটের হার ৫.৮৯ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৫৪.৯ শতাংশ। কংগ্রেসের ভোট প্রাপ্তির হার ১৫.০২ শতাংশ কমে হয়েছে ২৭ শতাংশ। আম আদমি পার্টি পেয়েছে ১৩ শতাংশ ভোট। ১৮২ আসনের বিধানসভায় বিজেপি পেয়েছে ১৫৬ আসন। ৫৭টি আসন বেড়েছে। কংগ্রেসের কমেছে ৬৭টি আসন, এবার হয়েছে ১৭। ‘আপ’ এবার প্রথম রাজ্যে ৫টি আসন পেয়েছে।
সিপিআই(এম) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক এবং মহম্মদ সেলিম বলেছেন, ভোটে জিতলেই পাপ স্খালন হয় না। বিজেপি বা তৃণমূল কারোরই হয় না। মনে রাখা দরকার বিজেপি কিন্তু হিমাচল এবং দিল্লিতে হেরেছে। গুজরাটে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতাকে নানা কৌশলে দাবিয়ে রাখে বিজেপি। এবার ভোটের আগে মহারাষ্ট্র থেকে বড় কয়েকটি প্রকল্পের বিনিয়োগ সরিয়ে গুজরাটে নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গেই ধর্মীয় উন্মাদনা তীব্র করে প্রচার চলে। বিদ্বেষ, ঘৃণা ছড়ানো প্রচার চলে। যে কারণে বিজেপি’র নির্বাচনী প্রচারে বাঙালিদের মাছ খাওয়া নিয়ে প্রচার করেছেন। বিদ্বেষ এবং বিভাজন ছড়ানোর কৌশলে ভোট লড়ে বিজেপি।
পলিট ব্যুরো বলেছে যে হিমাচলে কংগ্রেসের জয়ে বিদ্ধ হয়েছে বিজেপি, যে দল রাজ্যে নিজেদের সরকার এবং সব শক্তি নিয়োজিত করেছিল। বিজেপি’র অপশাসনের বিরুদ্ধে জনতার ক্ষোভই নির্ণায়ক হয়েছে। হিমাচল এবং দিল্লিতে বিজেপি’র পরাজয় তাদের দুর্বলতা স্পষ্ট করে দিয়েছে। বিপুল অর্থ এবং শক্তি ব্যবহার করেও হার এড়ানো যায়নি।
হিমাচল প্রদেশে কংগ্রেস গতবারের তুলনায় যদিও ১৯টি আসন বেশি পেয়েছে। বিধানসভার মোট ৬৮ আসনের মধ্যে কংগ্রেসের আসন সংখ্যা ৪০। বিজেপি’র ১৯টি আসন কমে জয় এসেছে ২৫ আসনে। হিমাচলে প্রতি পাঁচ বছর অন্তর সরকার পরিবর্তনের ধারা অব্যাহত আছে।
Comments :0