প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রাপকের তালিকায় নাম ছিল তার। সমীক্ষার পর চূড়ান্ত তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কথাও ছিল দরিদ্র পরিবারের এই গৃহকর্তার। কিন্তু স্থানীয় তৃণমূল নেতার কথা মতো ২০ হাজার টাকা কাটমানি দিতে অস্বীকার করায় এই আবাস যোজনার চূড়ান্ত তালিকা থেকে নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে কোচবিহার ২নং ব্লকের পুন্ডিবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩/১৭৫ নং বুথের বাসিন্দা বিমল সরকারের। সংশ্লিষ্ট এই বুথের তৃণমূল বুথ সভাপতি পিন্টু সরকার ও পুন্ডিবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নূর ইসলামের নাম উল্লেখ করে বুধবার পুন্ডিবাড়ি থানা ও কোচবিহার ২নং ব্লক দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন এই ব্যক্তি।
অভিযোগকারী বিমল সরকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রাপকের তালিকায় উপভোক্তা হিসেবে তার আইডি নম্বর ছিল ১২৯৪৬২৮৬৬, আবাস যোজনা সমীক্ষার পর তার বাড়িতে আসেন তৃণমূলের বুথ সভাপতি পিন্টু সরকার। তিনি এই পুন্ডিবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান নূর ইসলামের নাম উল্লেখ করে বলেন, ঘর বাবদ ২০হাজার টাকা না দিলে, তিনি এই ঘর পাবেন না। কিন্তু হতদরিদ্র এই ব্যক্তি তাদেরকে স্পষ্ট জানিয়ে দেন তিনি ঘর বাবদ কোন টাকা তাদেরকে দেবেন না। আর এর পরই চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর দেখা যায়, এই তালিকায় উপভোক্তা হিসেবে তার নাম নেই। তার সংশ্লিষ্ট আইডিতে তার নামেরই আরেক ব্যক্তিকে যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে অবৈধভাবে এবং তা হয়েছে পুন্ডিবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলী প্রধানের প্রত্যক্ষ মদতে। এভাবেই শাসক দলের নেতা এবং শাসকদলের প্রধানের সীমাহীন প্রতারণার শিকার হয়েছেন তিনি। এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি এবিষয়ে যথাযথ তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং তাকে সুবিচার পাইয়ে দেওয়ার এদিন দাবি জানান এই ব্যক্তি।
যদিও এই বিষয়ে পুন্ডিবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান নূর ইসলাম তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং তিনি বলেন, এটা পুরোপুরি বিরোধীদের চক্রান্ত।
Comments :0