কেন্দ্রীয় রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হার ছিল ৫.৭২ শতাংশ। জানুয়ারি মাসে সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৬.৫২ শতাংশে। ফেব্রুয়ারিতে সামান্য কমে ৬.৪৪ শতাংশ হয়েছে।পরিসংখ্যান ও প্রকল্প রূপায়ন মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারিতে দেশের শহরাঞ্চলে খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার ৬.১ শতাংশ। অথচ গ্রামে মূল্যবৃদ্ধির হার প্রায় ৬.৭ শতাংশ। অর্থাৎ প্রায় ৭ শতাংশ ছুঁইছুঁই।
ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে খুচরো মূল্যবৃদ্ধির স্বস্তিদায়ক লক্ষ্যমাত্রা ২-৬ শতাংশ। কিন্তু কেন্দ্রীয় রিপোর্ট থেকেই স্পষ্ট, ফেব্রুয়ারিতেও লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছে খুচরো বাজারের মূল্যবৃদ্ধির হার। প্রতিদিন সকালে উঠে খুচরো বাজার থেকেই কেনাকাটা করেন কোটি কোটি ভারতীয়। সেই বাজারে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে চলার ফলে সাধারণ মানুষের পকেটে আরও টান পড়তে চলেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মূলত খাদ্যদ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির ফলেই খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে। জানুয়ারিতে খাদ্য দ্রব্যে মূল্যবৃদ্ধির হার ছিল ৬ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে সামান্য কমে সেটা দাঁড়িয়েছে ৫.৯ শতাংশে। কেবল মাস ভিত্তিক হিসেবেই নয়, বাৎসরিক ভিত্তিতেও নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের দাম ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ১ বছরে খাদ্য শস্যের দাম বেড়েছে ১৬.১২ শতাংশ হারে। ডিমের ক্ষেত্রে বৃদ্ধির হার ৮.৭৮ শতাংশ, এবং দুধের দাম বেড়েছে ৮.৭৯ শতাংশ হারে। অনুরূপ হারে বেড়েছে মশলা, মাংস সহ অন্যান্য সামগ্রীর দামও।
অপরদিকে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে বারবার সুদের হার বা ‘রেপো রেট’ বৃদ্ধি করা হচ্ছে। ২০২২ সালের মে মাস থেকে শুরু করে এখনও অবধি মোট ৬ বার রেপো রেট বৃদ্ধি করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে সরকারকে খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার গড়ে ৪ শতাংশে বেঁধে রাখার লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করা হয়েছিল। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের হিসেবে, এই হার আরও ২ শতাংশ বাড়তে কিংবা কমতে পারে। অর্থাৎ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অনুমান ছিল, খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার খুব বেশি হলে ৬ শতাংশের কোঠা ছুঁতে পারে। যদিও সেই অনুমানকে ভ্রান্ত প্রমাণিত করে মূল্যবৃদ্ধি ৬ শতাংশকে ছাপিয়ে গিয়েছে।
Comments :0