গত ২০ জানুয়ারি সকালে বলাগড়ে তৃণমূল নেতা তথা হুগলী জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু ব্যানার্জির বাড়িতে হানা দেয় ইডি। সকাল নটা চল্লিশ মিনিট নাগাদ চারটি গাড়িতে ইডি’র ১২ জন আধিকারিক যান কুন্তল ঘোষের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত শান্তনু ব্যানার্জির বাড়িতে। শান্তনুর বাড়ি বলাগড়ের বারুইপাড়া গ্রামে। বাড়ির চারদিক ঘিরে রাখেন সিআরপিএফ জওয়ানরা।
কুন্তল ঘোষ ও অভিষেক ব্যানার্জি ঘনিষ্ঠ বলাগড়ের তৃণমূল নেতা শান্তনু ব্যানার্জির নাম নিয়েছিলেন তাপস মণ্ডল। সেই সূত্র ধরেই সেদিন সকালে শান্তনু ব্যানার্জির বাড়িতে তদন্তে যায় ইডি। সেদিন তাঁকে প্রায় নয় ঘণ্টা ধরে ইডি আধিকারিকরা জিজ্ঞাসাবাদ করেন। শান্তনু ব্যানার্জির কালো স্করপিও গাড়ির সামনে ও পিছনে থাকা কাগজপত্র ও ডায়েরি পরীক্ষা করে দেখেন ইডি আধিকারিকরা। প্রথমে ইডি আধিকারিকরা তাঁদের গাড়ি থেকে একটি স্ক্রু ড্রাইভার ও ভারী কিছু বস্তু বের করে নিয়ে যান। এরপরেই সন্ধ্যা পৌনে ছটা নাগাদ শান্তনু ব্যানার্জির বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা কালো রঙের স্করপিও গাড়িটিতে তল্লাশি চালাতে যান ইডি আধিকারিকরা। পরে সেটিকে বাড়ির ভেতরে ঢুকিয়ে নিয়ে গিয়ে তল্লাশি করেন এবং সেখান থেকে একটি হলুদ রঙের ও একটি নীল রঙের ফাইল উদ্ধার করেন। সেখানে ৩০০’র বেশি ওএমআর শিট ও অন্যান্য নথি পেয়েছিলেন তদন্তকারীরা।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শুক্রবার শান্তনু ব্যানার্জিকে ইডি তলব করে। তাঁকে সাত ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ইডি’র একটি সূত্রে দাবি শান্তনু ব্যানার্জি’র আয় ও ব্যয়ের হিসাবের অসঙ্গতি মিলেছে। এদিন তদন্তে অসহযোগিতা ও জিজ্ঞাসাবাদে অসঙ্গতি মেলায় এদিন সন্ধ্যায় তাঁকে গ্রেপ্তারের সিদ্ধান্ত নেয় ইডির আধিকারীকরা। এই নিয়ে নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডে মোট ২২ জন গ্রেপ্তার।
Comments :0