গরিবের টাকা লুট করে কেউ পার পাবে না। তৃণমূলের যত বড় নেতা তত বড় চোর। কৃষক-শ্রমিক-খেতমজুর এবং গ্রামের শ্রমজীবী মানুষকে একজোট হতে হবে। একসঙ্গে চলতে পারলে চোরদের হটানো সম্ভব।
সোমবার ভাতারে সারা ভারত খেতমজুর ইউনিয়নের পূর্ব বর্ধমান জেলা সম্মেলনের প্রকাশ্য সমাবেশে একথা বলেন গণআন্দোলনের নেতা সুজন চক্রবর্তী। এদিন সমাবেশে এছাড়াও বক্তব্য রাখেন খেতমজুর আন্দোলনের রাজ্যের নেতা অমিয় পাত্র ও তুষার ঘোষ। সুজন চক্রবর্তী বলেন, জনতা একজোট হলে চুরিতে দায়ী পঞ্চায়েত সদস্য, প্রধান, এম এল এ, মন্ত্রী কেউ রেহাই পাবে না।
সুজন চক্রবর্তী এদিন বলেন, গ্রামবাংলায় লাল ঝাণ্ডা বাড়ছে। ভয় পেয়ে আক্রমণ শুরু হয়েছে। তৃণমূল-বিজেপি আক্রমণ যত বাড়াবে লাল ঝান্ডার ক্ষমতা তত বাড়বে। শোষণ, বঞ্চনা, মানুষের মুক্তির আন্দোলনে লাল ঝান্ডা একমাত্র গরিবের সঙ্গী।
চক্রবর্তী বলেন, ভয়ঙ্কর বিপদের মুখে বাংলা। দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে সর্বত্র, খাটের তলায়, মাছ ব্যবসায়ীর ঘরে, লটারির নামে তৃণমূলের নেতা, মন্ত্রীদের কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হচ্ছে। পঞ্চায়েতে চুরি, ১০০ দিনের গরিবের মজুরির টাকা, ঘর তৈরির টাকা মেরে শাসকদলের নেতারা বড় বড় ইমারত তৈরি করেছে। তৃণমূলের সব নেতাই চোর, কালীঘাটে ঘাটে ঘাটে চুরির টাকা। লাল ঝান্ডার হাত শক্ত করুন এই চোরেরা কেউ রেহায় পাবে না।
চক্রবর্তী বলেন, আপনি বিজেপি’কে ঠেকাতে চান তাহলে তৃণমূলকে ঠেকাতে হবে। আর তৃণমূলকে ঠেকাতে হলে বিজেপিকে ঠেকাতে হবে। তৃণমূল বিজেপি একে অপরের পরিপূরক। দুই ফুলই চোর, এরা গরিবের শত্রু। চোরের রাজত্ব ভাঙতে হলে গ্রামবাংলায় জোট বাঁধুন। পঞ্চায়েত, বিডিও অফিসে আপনার হকের দাবি ছিনিয়ে আনতে সোচ্চার হোন।
খেতমজুর ইউনিয়নের রাজ্য সম্পাদক অমিয় পাত্র বলেছেন, ২০২২ সালেই সব গরিবের পাকা বাড়ি, ঘরে পানীয় জল, বিদ্যুতের কানেকশন দেওয়ার কথা কিন্তু হয়নি। ২০২৪ সালের মধ্যে এই কাজ শেষ করতে হবে। এখনও ২ কোটি ৯৫ লক্ষ গরিব পরিবার ঘর পায়নি। তৃণমূলের চুরি, দুর্নীতির জন্য ৮ মাস বন্ধ ছিল এই কাজ। এবার ১১ লক্ষ বাড়ি হবে রাজ্যে। ডিসেম্বরের মধ্যে এই কাজ শেষ করতে হবে। মাত্র ১২ দিনে ১১ লক্ষ বাড়ি তৈরির কাজ শেষ করা সম্ভব? আমরা দাবি করছি সব গরিবের বাড়ি ২০২৪ মধ্যে শেষ করতে হবে।
পাত্র বলেন আবাস যোজনার ঘর কারা পাবে তা তদন্ত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আশা, আই সি ডি এস কর্মী, সিভিক পুলিশদের। কেন বিডিও’কে এই দায়িত্ব দেওয়া হবে না? তৃণমূলকে পঞ্চায়েত থেকে না তাড়াতে পারলে গরিব ঘরও পাবে না, কাজও না। সংগঠনের রাজ্য সভাপতি তুষার ঘোষ বলেছেন, আগে অন্য রাজ্য থেকে এই রাজ্যে কাজে আসতেন মানুষ। এখন এখান থেকে দলে দলে মানুষ গ্রাম ছেড়ে কাজের সন্ধানে অন্য রাজ্যে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। কৃষকের অবস্থাও খুবই খারাপ। কৃষক না বাঁচলে খেতমজুরও বাঁচবে না। এদিন এছাড়াও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন খেতমজুর নেতা গনেশ চৌধুরী ও বাসুদেব মেটে।
Comments :0