Sujan Chakrabortyon 'Suraksha Kabach"

নিজেদের সুরক্ষা চাইছেন আসলে তৃণমূল নেতানেত্রীরা

রাজ্য

Sujan Chakrabortyon Suraksha Kabach

মমতা ব্যানার্জি এবং তাঁর বাহিনীর আসলে নিজেদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করছেন। ওঁরা মানুষের কাছে ধরা পড়ে গিয়েছেন। মানুষকে সুরক্ষা দেবেন কী করে? নিজেদের সুরক্ষার জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি প্রসঙ্গে এই মন্তব্য করেছেন সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী।

সংবাদমাধ্যমে এক প্রশ্নে তিনি বলেছেন, যাঁদের প্রকৃত সামাজিক সুরক্ষা পাওয়ার কথা, তাঁরা বঞ্চিত হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। তাঁর ব্যাখ্যা, ‘‘রাজ্যের পঞ্চায়েত ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে  ‘দুয়ারে সরকার’ বলা হলো। সেটি ব্যর্থ হওয়ায় এল ‘দিদিকে বলো’। সেটিও ব্যর্থ। এখন বলা হচ্ছে ‘দিদির দূত’। কিন্তু বাংলার মানুষ বুঝে গিয়েছেন, এঁরা দূত নয়, বরং লুঠের ভূত। এবার আনা হলো সুরক্ষা কবচ।

সুজন চক্রবর্তী প্রশ্ন তোলেন, কাদের দেওয়া হবে সুরক্ষা? এই প্রসঙ্গে তিনি নন্দকুমারের পুলিশি নির্যাতনের উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, সরকারি প্রকল্পের সুবিধা প্রকৃত গ্রাহকদের কাছে পৌঁছচ্ছে না। পৌঁছচ্ছে না বলেই আরজুনা বিবিদের ব্লক অফিসে ধর্ণা দিতে হয়। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা তো সরকারি প্রকল্প। সেই প্রকল্পের সুবিধা কারা পেলেন আর কারা পেলেন না সেই তথ্য সরকারের কাছে চাওয়া যাবে না? সেই তালিকা চাইলেই সংখ্যালঘু এক গৃহবধূকে এমন ভাবে মারা হবে যে সে হাঁটতে চলতে পারবে না? এরাজ্যের সরকারের তাঁদের কারচুপি মানুষ ধরে ফেলেছেন। তাই নিত্যনতুন কর্মসূচি আমদানি করতে হচ্ছে মমতা ব্যানার্জিকে। 

অন্য এক প্রশ্নে সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘বন্দে ভারত’ হোক কিংবা অন্য কোনও ট্রেন বা যানবাহন- কোনও অবস্থাতেই তাতে ঢিল-পাথর ছোঁড়া সমর্থন যোগ্য নয়। কারা, কী উদ্দেশ্যে পাথর ছুঁড়ল, তা রেল এবং সিআইডি প্রয়োজনে তদন্ত করে দেখুক। কিন্তু এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপির পারস্পরিক রাজনীতি করার চেষ্টা কোনও ভাবেই সমর্থন যোগ্য নয়। আসলে এই দুই দলের হাতে রাজনীতির কোনও ইস্যু নেই। 

Comments :0

Login to leave a comment