পঞ্চায়েত থেকে হটাতে হবে দুর্নীতিতে ডুবে থাকা তৃণমূলকে। গরিব মানুষের জোট গড়েই সেই লড়াই করতে হবে। দেশের বিপদ আরএসএস-বিজেপি’কে ঠেকানো এই লড়াইয়েরই আরেকটি মুখ।
রবিবার পূর্ব মেদিনীপুরে এগরা ও কাঁথিতে সিপিআই(এম)’র সভায় এই আহ্বান জানিয়েছেন পার্টির রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
সেলিম বলেন, দেশের সার্বভৌমত্ব ধর্মনিরপেক্ষতা রক্ষা করতে আরএসএস নিয়ন্ত্রিত বিজেপিকে ঠেকাতে হবে। রাজ্যের আপাদমস্তক দুর্নীতিতে ডুবে থাকা তৃণমূলকে তাড়াতে হবে। বিজেপি এবং তৃণমূল একে অপরের পরিপূরক।
সেলিম মনে করিয়েছেন যে গ্রামের মানুষের ক্ষমতায়নের লক্ষ্য নিয়ে পঞ্চায়েত ব্যবস্থা পরিচালনা করেছিল বামফ্রন্ট সরকার। তৃণমূল পঞ্চায়েতে এসে সমস্ত রকম দুর্নীতি সৃষ্টি করেছে। চোরের রাজত্বের অবসান ঘটাতে হবে। বাম এবং ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে বিজেপি এবং তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।
তৃণমূল এবং বিজেপি’র মিলের একাধিক উদাহরণ দেন সেলিম। তিনি বলেন, ‘‘একসময় তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারী এখন বিজেপি’তে। সিবিআই, ইডি’ র হাত থেকে বাঁচতে বিজেপি’তে যোগ দিয়েছেন। কে কখন বিজেপি বা তৃণমূলে যাচ্ছে সেটা মানুষ বুঝে উঠতে পারছেন না। মুহূর্তে মুহূর্তে এরা দলবদল করছে।
বিজেপি’র বিপদ বিশদে ব্যাখ্যা করেন সেলিম। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি সরকার দেশটাকে কর্পোরেটের হাতে তুলে দিয়েছে। তারই সহযোগী তৃণমূল রাজ্যের পঞ্চায়েত থেকে আরম্ভ করে শিক্ষাব্যবস্থায় ঢালাও দুর্নীতির প্রবেশ ঘটিয়েছে। রাজ্যের ট্রাম বাস বিক্রি করতে চাইছে।’’
সেলিম বলেন, ‘‘গোটা দেশে ও বিশ্বে দক্ষিণপন্থার বিকাশ ঘটেছে। লাল ঝান্ডা এই দক্ষিণপন্থীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে।’’ তিনি বলেন, ‘‘আরএসএস মমতাকে লালন করেছে। তৃণমূল এবং বিজেপি, দু’দলই ভয়-ভীতি তৈরি করে ক্ষমতা দখলের রাজনীতি ভাগাভাগি করে নিতে চায়। একমাত্র বামপন্থীরাই মানুষের কথা বলতে পারে।’’
সভায় রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অনাদি সাহু , জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি বক্তব্য রাখেন। কাঁথির সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজ্য কমিটির সদস্য হিমাংশু দাস। এগরা সভায় সভাপতিত্ব করেন সুব্রত পন্ডা । উভয় সভায় উপস্থিত ছিলেন ভরত মাইতি, সত্য রঞ্জন দাস, শেখ ইব্রাহিম আলী ,আশীষ প্রামাণিক ,কালিপদ দাস মহাপাত্র ,কৃষ্ণপদ মাইতি ,অপর্ণা দাস প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
Comments :0