২০১৩ সালে এই অঞ্চলের সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে ধুমধাম করে উদ্বোধন হয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এই নতুন বিল্ডিং এর। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা ছিল। ছিল নতুন বেড ও একটি প্যাথলজিও বিভাগ। কিন্তু বছর গড়াতে না গড়াতে উধাও সবকিছু। বর্তমানে না আছে কোনও বেড না আছে অ্যাম্বুলেন্স। শুধুতাই নয়, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসকদের থাকার কথা সপ্তাহে ছয়দিন। কিন্তু সেই জায়গায় একদিনও দেখা মেলে না চিকিৎসকদের। চিকিৎসকেরা কবে আসেন তা জানেননই না পঞ্চায়েত প্রধানও।
স্থানীয় এক বাসিন্দা পরিমল দের অভিযোগ, ‘‘স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এসে সঠিক স্বাস্থ্য পরিষেবা পাওয়া যায় না। কোনো সময় ডাক্তার থাকে না। এমন কি কোন দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিকে নিয়ে আসা হলেও সেখান থেকে কোন পরিষেবা পাওয়া যায় না। ডাক্তার দেখানোর জন্য নিজেদের গ্যাটের করি খরচা করে প্রাইভেটে ডাক্তারের চেম্বারে যেতে হয়।’’ এই অঞ্চলের আরও এক বাসিন্দা আনসার মল্লিক। তাঁর অভিযোগ, ‘‘মানুষের রোগব্যাধী হলে তাদেরকে যেতে হয় শহরের হাসপাতালে। স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিতক্ত হয়ে থাকার সন্ধে হলেই ওই জায়গা হয়ে উঠে মদ, গাঁজার ঠেক।’’
গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। পঞ্চায়েত প্রধান খোদ স্বীকার করেন স্বাস্থ্যকেন্দ্রর এই বেহাল অবস্থার কথা। তিনি নিজেই জানেন না এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসকেরা কদিন আসেন। পরে অবশ্য, সরেজমিনে খতিয়ে দেখার কথাও কথাও বলেছোন তিনি।
সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। ভোটের আগেই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এহেন পরিস্থিতিতে প্রশ্নের মুখে প্রশাসন। এই নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানোউতর।
Comments :0