গাজলে একে অপরের সাথে বচসায় জড়িয়ে পড়লেন কেন্দ্র ও রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের সদস্যরা। শনিবার গাজলে নির্যাতিতা ছাত্রীর বাড়িতে যায় কেন্দ্র এবং রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের সদস্যরা। কয়েকদিন পূর্বেই মালদার গাজলে স্কুলের ভিতর ধর্ষনের শিকার হয় ষষ্ট শ্রেণির এক ছাত্রী। সেই ঘটনার তদন্তে গিয়ে একে অপরের সাথে বচসায় জড়িয়ে পড়লেন রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান সুদেষ্ণা রায় এবং কেন্দ্রীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান প্রিয়ঙ্ক কানুনগো।
এদিন সকালে কেন্দ্রীয় দল আসার আগেই নির্যাতিতার বাড়ির লোকেদের সাথে দেখা করতে যায় রাজ্যের প্রতিনিধিরা। সেখান থেকেই ঝামেলার সুত্রপাত। রাজ্যের প্রতিনিধিদের নির্যাতিতার বাড়ি থেকে চলে যেতে বলেন প্রিয়ঙ্ক। সুদেষ্ণার সঙ্গে তাঁর উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ও হয়। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে বিজেপি এবং তৃণমূল। বিজেপি বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরি দলীয় কর্মীদের নিয়ে ধর্নায় বসে পড়েন কেন্দ্রীয় দলকে আটকানোর প্রতিবাদ। সেই সময় বিজেপি এবং তৃণমূল কর্মীরা একে অপরের সাথে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। দুই রাজনৈতিক দলের এই বচসা দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা। পুলিশ বচসা থামাতে এলে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান গ্রামের মানুষজনরা।
উল্লেখ্য ঘটনার পরদিনই নির্যাতিতার পরিবারের সাথে দেখা করে মালদা জেলা ডিওয়াইএফআই এবং মহিলা সমিতির নেতৃত্ব। দোষীদের শাস্তির দাবিতে পথে না নেমে কেন্দ্র এবং রাজ্যের প্রতিনিধি দলকে তদন্তে সাহায্য না করে রাজনীতিতে ব্যাস্ত বিজেপি এবং তৃণমূল।
কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সাথে ছিলেন বিজেপি বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরি। কেন্দ্রীয় দলের একজন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি কি করছে তা নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠেছে, ঠিক সেই ভাবে তৃণমূলের অতি সক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
Comments :0