Brigade Rally

বিজেপির হামলা প্রতিহত করে ব্রিগেডের সমর্থনে মিছিল ভগবানপুরে

জেলা

হামলা উপেক্ষা করে ভগবানপুর দুই ব্লকে ব্রিগেড সমাবেশের প্রচার মিছিল।

শ্রমিক, কৃষক, খেতমজুর ও বস্তির মানুষের দাবিকে সামনে রেখে আগামী ২০ এপ্রিল ব্রিগেড সমাবেশের ডাক দিয়েছেন শ্রমিক-কৃষক-খেতমজুর-বস্তিবাসীরা। ব্রিগেড সমাবেশের সমর্থনে প্রচার চলছে রাজ্যের প্রতিটি জেলার কোণায় কোণায়। বেকারের কাজের দাবি, কৃষকের ফসলের ন্যায্য মূল্য, কলকারখানা খোলার দাবি, আকাশ ছোয়া মূল্য বৃদ্ধি, ১০০ দিনের কাজ ২০০ দিনের দাবি,রাজ্যের শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের স্বজনপোষণ, গরিবের আবাস যোজনার ঘর, বিজেপি এবং তৃণমূলের ধর্মীয় বিভাজনের নীতির বিরুদ্ধে ২০ এপ্রিল ব্রিগেড সমাবেশ। তারই সমর্থনে গোটা রাজ্যজুড়ে গ্রাম-গঞ্জ শহরের কোনায় কোনায় চলছে প্রচার মিছিল, কনভেনশন, পথসভা ও মিছিল , লিফলেট বিলি। ব্রিগের সমর্থনে মঙ্গলবার সকালে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুর -২ ব্লকের ইটাবেড়িয়া অঞ্চলের পাঁচটি গ্রাম পরিক্রমা করে মিছিল। উত্তর খামারে পদযাত্রা সংঘটিত হয় এদিন সকালে। সেই সময় হঠাৎ গুটিকয়েক বিজেপির কর্মী লাঠি, বাঁশ নিয়ে মিছিলের উপর আক্রমণ চালায়। শুরু হয় ধস্তাধস্তি। গ্রামের মানুষ প্রতিরোধের বেরিয়ে এলে পিছু হঠতে বাধ্য হয় বিজেপির লুম্পেন বাহিনী। তাদের হুঙ্কার বামপন্থী শ্রমিক, ক্ষেতমজুর, কৃষক সংগঠনের কোন ধরনের মিছিল করা যাবে না। কিন্তু বিজেপির এই হামলাকে উপেক্ষা করে মিছিল এগিয়ে যায় এবং সাধারণ শ্রমজীবী মানুষের সংখ্যা আরো বাড়তে থাকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ভূপতিনগর থানার পুলিশ। কিন্তু তার আগেই  গ্রামের মানুষের তাড়া খেয়ে বিজেপির লুম্পেন বাহিনী পালিয়ে যায়। সকাল থেকে মিছিল অংশগ্রহণকারীদের জন্য সিপিআই(এম)দরদীর বাড়িতে দুপুরের খাওয়ার আয়োজন করা হয়েছিল। হঠাৎ করে সেখানে চড়াও হয়ে বিজেপির কয়েকজন মদ্যপ কর্মী। রান্না করা কিছু খাওয়ার তুলে নিয়ে চলে যায়। মিছিল শেষে পথসভা হয়। সেখানে সিপিআই(এম) জেলা কমিটির সদস্য বিষ্ণুপদ মান্না, এরিয়া কমিটির সম্পাদক চিত্ত দাস ব্রিগেড সমাবেশে উদ্দেশ্য নিয়ে বক্তব্য রাখেন এবং বিজেপির এই ঘটনা তীব্র নিন্দা করেন। বিজেপির এই হামলাকে গুরুত্ব না দিয়ে মিছিলকে নেতৃত্ব দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যান অমলেন্দু দাস,মিলন মান্না, শক্তিপদ দাস, হৃদয় দোলুই, স্বপন সরদার, যুগল জানা প্রমুখ। 

Comments :0

Login to leave a comment