দুর্গাপুরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কুড়ুরিয়াডাঙার মিলনপল্লিতে দুই শিশু পুত্র কন্যা সহ দম্পতির অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। রবিবার ভোরে চারজনেরমৃতদেহ উদ্ধার হয়। রবিবারই পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। মিলনপল্লির বাড়ি থেকে ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল অমিত কুমার মন্ডল, তার স্ত্রী রূপা মন্ডল, সাড়ে ৭ বছরের পুত্র ও এক বছর তিন মাসের শিশু কন্যার। সপরিবারে দম্পতির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উঠেছিল খুনের অভিযোগ।
অমিতের স্ত্রী রূপার পিতা বিশ্বম্ভর পাল দুর্গাপুর থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অমিতের মা বুলারানি মন্ডল, অমিতের মামাতো ভাই প্রশান্ত নায়েক ও শীলা মন্ডল নায়েক কে গ্রেপ্তার করেছে। ২০ জনের নামে এফআইআর করা হয়েছে। দুর্গাপুর থানা কেস নম্বর ১৭২/২৩ এবং ৪৯৮-এ, ৩০২, ৪০৬, ১২০(বি), ৩৪ ধারায় মামলা দায়ের করে সোমবার ধৃতদের দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে সোপর্দ করা হয়। প্রশান্ত নায়েকের ১০ দিনের পুলিশ হেপাজত হয়েছে। বাকি দুইজনের ১৪ দিনের জেল হেপাজত হয়েছে।
কুড়ুরিয়াডাঙাতেই মৃত অমিতের মাতুলালয়। বাকি অভিযুক্তরা গা ঢাকা দিয়েছে। এলাকায় পুলিশ টহল দিচ্ছে। অমিতদের বাড়ির গেটে তালা ঝুলছে। কুড়ুরিয়াডাঙার মোড়ে অমিতের জমি কেনাবেচার দোকান ছিল। পুলিশ দোকানে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে।
সোমবার দুপুর সাড়ে ৩টা নাগাদ ময়না তদন্ত শেষে চারটি মৃতদেহ কুড়ুরিয়াডাঙায় আনা হয়। অমিতদেরআদিবাড়িও এই গ্রামে। সেখানে আত্মীয়রা রয়েছেন, মৃতদেহ সেখানেই আনা হয়। পুলিশী ব্যবস্থাপনায় এদিনই বীরভানপুর শ্মশানে মৃতদেহগুলিরশেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়।
Comments :0