সারা ভারত বিমা কর্মচারী সমিতি ২৬তম সর্বভারতীয় সম্মেলন ৮-১১ জানুয়ারি কলকাতায় অনুষ্ঠিত হবে। সেই সম্মেলনকে সামনে রেখে সমিতি গৌহাটি থেকে কলকাতা পর্যন্ত জাঠা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এই জাঠার লক্ষ্য হল কেন্দ্রীয় সরকার এই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে বেসরকারীকরণ করে শুধু বিমা সংস্থায় কর্মরত কর্মী ও এজেন্ট নয় এর সাথে যুক্ত গ্রাহকদের সচেতন করার জন্যও প্রচার চালানো হচ্ছে। ইতিমধ্যে এই জাঠা গৌহাটি থেকে যাত্রা শুরু করে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা পরিক্রমা করে বুধবার দুপুরে মালদহ জেলার গাজোলে প্রবেশ করেছে। পরে গাজোল থেকে মালদহ শহরে আসে। এই দুই জায়গায় কর্মসূচির পর তা যায় মুর্শিদাবাদ জেলার ওমরপুরে।সেখানে বিমা সমিতির জলপাইগুড়ি বিভাগের নেতৃত্ব তা কলকাতা বিভাগীয় নেতৃত্বের হাতে তুলে দেন।
এদিন গাজোলে এলআইসি অফিসের কাছে জাঠাযাত্রীদের অভিনন্দন জানিয়ে সভা হয় সুজিত বোসের সভাপতিত্বে। সভায় বক্তব্য রাখেন খেতমজুর ইউনিয়নের নেতা সাধু টুডু, ডিওয়াইএফআই এর পক্ষে জিশান আহমেদ, কৃষক সভার অরুণ বিশ্বাস এবং বিভাগীয় বীমা কর্মচারী সমিতির পক্ষে শান্তনু বিশ্বাস, উমাকান্ত বড়ুয়া ও অসীম ভট্টাচার্য।
এরপর জাঠা গাজোল থেকে রওনা হয়ে মালদহ শহরে আসে এবং সভা হয় জাতীয় সড়কের পাশে সুকান্ত মোড়ে। এখানে সাময়িক বিরতি ও সভা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিমা কর্মচারী সমিতির নেতা জয়ন্ত চন্দ্র। সভায় ভাষণ দেন সিআইটিইউ-র জেলা সভাপতি প্রণব দাস ও এস এফ আই-র জেলা সভাপতি কৌশিক মৈত্র।
এরপর জাঠা রওনা মুর্শিদাবাদ জেলার দিকে। গাজোল ও শহরের সভায় নেতৃবৃন্দ বিমা ও বিমা কর্মচারীদের আন্দোলনের ইতিহাস উল্লেখ করে বলেন জনগণের স্বার্থরক্ষাকারী বিমা সংস্থাকে বেসরকারীকরণের উদ্যোগ নিতে নিয়ে তা অনুগত কর্পোরেট হাউসের হাতে তুলে দিতে সচেষ্ট। পাশাপাশি কেন্দ্রের সরকার ও আমাদের রাজ্য সরকারের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলা জরুরী। এই আন্দোলনে অন্যান্য অংশের শ্রমজীবী মানুষের সাথে বিমা কর্মচারীরাও যুক্ত থাকবে।
Comments :0