Konnagar

এপার বাংলায় অবহেলিত ভাষা শহীদের স্মৃতি

রাজ্য জেলা

আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি আপামর বাঙালির কাছে এটা প্রাণের গান। ১৯৫২ সালে বাংলা ভাষার সম্মান রক্ষার্থে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী ঢাকার রাস্তায় পুলিশের তপ্ত বুলেটের সামনে বুক পেতে দিয়েছিল জব্বার সালাম শফিউরের মতন  দামাল ছেলেরা , সেদিন বীর শহীদ দের রক্তে ভেসে গিয়েছিল রাজপথ। জব্বার সালাম সাইফুরদের রক্তের বিনিময়ে বহু সংগ্রামের পর অবশেষে বাংলা ভাষাকে স্বীকৃতি দিয়েছিল পাকিস্তান সরকার। শুধু তাই নয় পরবর্তী কালে রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফ থেকেও একুশে ফেব্রুয়ারি দিনটিকে সারা পৃথিবী জুড়ে মাতৃভাষার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। দুনিয়ার কোনে কোন যেখানে যত বাঙালি আছে একুশে ফেব্রুয়ারির দিনটি তারা শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করেন।

সেদিনের রক্তাক্ষই সংগ্রামে যারা শহীদ হয়েছিলেন তাদের মধ্য এপার বাংলার এক কৃতি সন্তান রয়েছেন, তাঁর নাম শফিউর রহমান । হুগলি জেলার কোন্নগর এর কড়াতি পাড়াতে জিটি রোডের উপর  পৈত্রিক বাড়িতে ১৯১৮ সালের বাইশে জানুয়ারি জন্ম নিয়েছিলেন শফিউর। পড়াশোনা করেছিলেন স্থানীয় কোন্নগর হাই স্কুলে উচ্চশিক্ষা নেন কলকাতার গভর্নমেন্ট আর্ট কলেজ থেকে। দেশ স্বাধীন হবার পর শফিউর রহমানের পরিবার চলে যান পূর্ব পাকিস্তানের ঢাকায়। বাঙালির বাংলা ভাষার সম্মান রক্ষার্থে এত বড় আত্ম বলিদান বাংলার ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে কিন্তু খুবই পরিতাপের বিষয় আজকে একুশে ফেব্রুয়ারি কিন্তু খুবই পরিতাপের বিষয় আজকে তাঁর স্মৃতি রক্ষার্থে কোনরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি এপার বাংলায়, তাঁর বাড়িটি কোন্নগরের জীর্ণ ভগ্না অবস্থায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। আত্মীয়-স্বজন  সেখানে বাস করেন।

এখানকার মানুষদের একটাই দাবি কোন্নগরের এই সন্তানের জন্য যদি তাঁর স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য কোন রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয় তাহলে বাংলার মানুষ জানতে পারবে পশ্চিম বাংলার হুগলির কোন্নগর শহরের জন্ম নেওয়া এক মহান ব্যক্তির যিনি মাতৃভাষা বাংলার সম্মান রক্ষার্থে আত্ম বলিদান দিয়েছিলেন। 

বাম পরিচিত পৌরসভার এক সময় শফিউর রহমান এর স্মৃতির উদ্দেশ্যে নজরুল ভবনের একটি কক্ষ তাঁর নামে উৎসর্গ করে। তার পরে কেটে গেছে বহু বছর তৃণমূলের জমানায় অজত্নে নষ্ট হচ্ছে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস।

ছবি :- অজত্নে নষ্ট হচ্ছে শফিউর রহমানের বাড়ি।ছবি অভীক ঘোষ। 

Comments :0

Login to leave a comment